বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের (Aswin) শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja 2020) আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে এ এক চিরন্তন প্রার্থনা। অনেকেই সারা বছর প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। উল্লেখ্য, খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পুজোর উপাচার পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। এই বছর ৩০ অক্টোবর লক্ষ্মী পুজো। এই দিনে উপবাসের মাধ্যমে মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করা হয় এবং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে পুজো করা হয়।
লক্ষ্মীপুজোয় অপরিহার্য হল আলপনা (Alpona)। অন্যান্য পুজো আর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আলপনাতে বেশ কিছু পার্থক্য থাকে। এই পুজোতে মূল আলপনার সঙ্গে বাড়িতে আঁকা হয় ধানের ছড়া, মুদ্রা, আর মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের ছবি। এই প্রতীকগুলি পুজোর মহত্ত্ব যেমন ব্যাখ্যা করে, তেমনই আচারের একটা অংশ হয়ে উঠেছে এই বিশেষ ধরনের আলপনা। কথিত আছে, পূর্ণিমা রাতের আলো আঁধারিতে এই আলপনা দেখেই দেবী লক্ষ্মী বুঝতে পারেন কোন বাড়িতে তাঁর আরাধনা হচ্ছে। সেই বাড়িতেই অধিষ্ঠান হয় তাঁর। আর সেইজন্যই লক্ষ্মী পুজোর আগে আমরা নিয়ে এসেছি কয়েকটি আলপনার ডিজাইন। আরও পড়ুন: Bengali Lakshmi Puja 2020 Auspicious Rituals: মা লক্ষ্মীকে কীভাবে সন্তুষ্ট করে বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আনবেন? জেনে নিন