নদীয়ার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পঙ্খ অলংঙ্কিত নাট মন্দিরে, প্রতিপদ তিথিতে হোমকুণ্ড প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে সূচনা হল ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোর।প্রাচীন রীতি নীতি মেনে বিশেষ পুজোপাঠ উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজবংশের উত্তরাধিকারীরা।এখানে দেবী রাজ রাজেশ্বরী নামে পূজিত হন। রাজবাড়িতে মহাধুমধামের সঙ্গে পালিত হয় রাজ রাজেশ্বরীর পুজো। আর সেই পুজো উপলক্ষেই রাজবাড়ির হোম কুন্ডলী জ্বলে ওঠার পর্ব শুরু হল আজ থেকে। নিয়ম মেনে নাটমন্দিরে করা হয় যজ্ঞ। বলা হয় নাকি নদিয়া জেলায় বসবাসকারী সকলের মঙ্গল কামনায় এই যজ্ঞ মূল উদ্দেশ্য।কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ি দর্শকদের কাছে বরাবরই মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতি বছরই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেন এই পুজো দেখার জন্য। এ বারও তার অন্যথা হবে না। র হাত ধরে শুরু হয় এই পুজো।
অন্যদিকে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট উত্তোলনের মধ্য দিয়ে গতকাল পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা রাঢ় বঙ্গে শারদ উৎসবের সূচনা হয়েছে । রাজ আমলের ঐতিহ্য মেনে ঢাকঢোল, বাদ্যসহযোগে শোভাযাত্রা করে সর্বমঙ্গলা মন্দির থেকে ঘট নিয়ে যাওয়া হয় রাজার প্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণসায়রে।প্রতিপদ থেকে শুরু হয়ে পুজো পাঠ চলবে নবমী পর্যন্ত। প্রতিদিনই হবে চন্ডী পাঠ। উল্লেখ্য মহারাজা কীর্তি চাঁদ প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে সারা বছরই সর্বমঙ্গলা রুপে পুজিতা হন। আজ শোভা যাত্রায় অংশ নেন বিধায়ক খোকন দাস, মন্দিরের প্রধান পুরোহিত এবং বর্ধমান বাজেপ্রতাপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের মহারাজ অজ্ঞেয়ানন্দজী৷ মহারাজসহ অন্যান্যরা। শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দুপাশে ভিড় জমান শহরবাসী।