Durga Puja (Photo Credit: File Photo)

প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় রাজ্যজুড়ে প্রতিযোগিতা চলে সেরা মণ্ডপ, সেরা প্রতিমা আর সেরা আয়োজনে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজিত ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ এখন এক বড় স্বীকৃতি। এ বছরও একাধিক জেলা থেকে উঠে এসেছে নজরকাড়া পুজোর নাম।জেলার বিভিন্ন পুজো মন্ডপে সপ্তমীর রাতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। আলোকসজ্জা ও মন্ডপের অভিনবত্বে প্রতিটি পুজোই স্বতন্ত্রতার দাবি রাখে।

নদীয়ার অন্যতম আকর্ষণ কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো। পঙ্খ অলংকৃতরাজবাড়ীর নাট মন্দিরে পুজিত হয় রাজরাজেশ্বরী। এখনও সাবেকি  নানাররীতি মেনে চলে এই পুজো। রানাঘাট সড়কপাড়ার একের পল্লী দুর্গোৎসব এবারে ৮২ বছরেপড়েছে। রানাঘাটমাহুত পাড়ায় নব কল্যাণ সংঘের পুজো এবার পড়ল ৭৫ বছরে। পরিবেশবান্ধব পাট জাত দ্রব্য দিয়ে মন্ডপ সজ্জাকরা হয়েছে। তাহেরপুর বাদকুল্লা রানাঘাটের মন্ডপগুলিতে গতসন্ধ্যায়দর্শনার্থীদের ঢল নামে।

ভারত সরকার স্বীকৃত পর্যটন গ্রামমুর্শিদাবাদের কথিত সতী পীঠ কিরীটিশ্বরী মন্দিরের রাজরাজেশ্বরীর পুজোয় মুসলিমপ্রজার বাড়ি থেকে কাপড় পরে আসে বিশেষ মাছ। তাতেই রান্না হয় মায়ের ভোগ।মহা অষ্টমীর দিন গুপ্ত মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রীদেবী রাজ রাজেশ্বরী রূপে পূজিত হন।

৪০০ বছরের বেশি পুরোনো লৌকিক এই উৎসবসম্প্রীতির উৎসব হিসেবে মূর্শিদাবাদ জেলায় খ্যাতি পেয়েছে।পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য বজায় রেখে ৩৫০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছেমালদায় আদি কংস বণিক সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজো। এখানে পুজোর নৈবেদ্যের আয়োজন থেকেসমস্ত কিছুর দায়িত্ব পালন করেন পুরুষেরা। মহিলারা শুধু পুজোর আনন্দে শামিলহন।

জলপাইগুড়ি জেলায় মহা অষ্টমীতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের কুমারী পূজা দেখতে ভীড় জমান অসংখ্য ভক্তবৃন্দ। পূজা শেষে অঞ্জলি ভোগ আরতি শেষে প্রসাদ গ্রহন করেন সকলেই। পাশাপাশি রাজবাড়ীর কুমারী পূজা হয়ে আসছে ৫১৬ বছর ধরে।জেলার জুগনো ডাঙ্গা রামকৃষ্ণ মিশনে আশ্রমেও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয় ।প্রতিটি জায়গাতেই ভক্তদের ভীড় উপচে পড়ে।