ধূমাবতী জয়ন্তীতে পুজো করা হয় মা ধূমাবতীর। দারিদ্র্যের জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার নিশ্চিত উপায় বলে মনে করা হয় এই দিনের পুজোকে। মান্যতা রয়েছে, এই পুজো মন দিয়ে করলে আর্থিক সংকট দূর হয়। জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালন করা হয় ধূমাবতী জয়ন্তী। ১০ মহাবিদ্যার একটি হল মা ধূমাবতী। ঋষি দূর্বাসা, ভৃগু এবং পরশুরামের মৌলিক শক্তি হল মা ধূমাবতী। পাপীদের ধ্বংস করার জন্য অবতারণ করেছিলেন মা ধূমাবতী। শত্রুর বিরুদ্ধে জয়লাভের জন্য পুজো করা হয় মা ধূমাবতীর।

২০২৪ সালে ধূমাবতী জয়ন্তী পালন করা হবে ১৪ জুন, শুক্রবার। দেবী পার্বতীর মা ধূমাবতীর রূপের পুজো করেন বিবাহিত মহিলারা। মা ধূমাবতীকে মনে করা হয় মা পার্বতীর উগ্র রূপ। মা ধূমাবতীর চেহারা খুবই ভয়ঙ্কর, তার বাহন হল কাক। দেবী পুরানো এবং নোংরা পোশাক পরেন এবং তার চুল সম্পূর্ণ উস্কোখুস্কো। বিধবা রূপে পূজিত হন মা ধূমাবতী, কারণ ক্ষুধার্ত হওয়ার জন্য ভগবান শিবকে গ্রাস করেছিলেন তিনি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দেবীকে বিধবা রূপ ধারণের অভিশাপ দিয়েছিলেন ভগবান শিব।

চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তির জন্য পুজো করা হয় দেবী ধূমাবতীর। দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধূমাবতী জয়ন্তীর দিন গুড় ও আখ দিয়ে করতে হবে যজ্ঞ। জীবনে দুঃখ, কষ্ট অনেক বেড়ে গেলে শনিবার একটি কালো কাপড়ে কালো রঙের তিল বেঁধে নিবেদন করতে হবে দেবী ধূমাবতীকে।‌ এছাড়া আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হলে ধূমাবতী জয়ন্তীর দিন নিম পাতা এবং ঘি দিয়ে যজ্ঞ করা উচিত।