ক্রিসমাস মানেই উপহার পাওয়ার দিন। সে সিক্রেট স্যান্টাক্লজই হোক আর সামনে এসে হাতে হাতে উপহার তুলে দেওয়া স্যান্টা, গিফট কিন্তু আপনারই থাকছে। বড়দিন মানে ছোটদের আনন্দের সীমা নেই। রাতে হইহল্লা করে ঘুমিয়ে পড়ার পর ক্রিসমাসের সকালে চোখ খুলতেই বালিশের পাশে উঁকি মারছে বর্ণময় রিবনে বাঁধা গিফটের বাক্স। বড়দিন মানে আট থেকে আশি সবার কাছে কেক-ওয়াইন-ক্রিসমাস ট্রি নিয়ে মেতে ওঠা। আর অবশ্যই স্যান্টার থেকে পাওয়া গিফটের আনন্দ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দও অনেক ফিকে হয়ে আসে। তবে উপহার পেতে কার না ভাল লাগে। সেখানে বয়স বাদ দিয়ে আনন্দটাই প্রাধান্য পায়। তাই শুধু ক্রিসমাস নয় বক্সিং ডে (Boxing Day) নিয়েও রয়েছে অনেক স্বপ্ন।
ক্রিসমাস অর্থাৎ বড়দিনের পরের দিন ২৬ ডিসেম্বরই হল বক্সিং ডে। ক্রিসমাস পার্টিতে আনন্দের আতিশয্য তো কম কিছু হয় না। ক্রিসমাস ইভে থ্যাংক্সগিভিং ডের ফ্যামিলি ডিনারও মনে রাখার মতো। তবে ক্রিসমাসের রাত বছর শেষের বর্ণময় রাতের একটা। অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা, গল্প, লেটনাইট পার্টি শেষে বিছানায় পড়লেই চোখে জড়িয়ে আসে ঘুম। বেলা ঘুম ভাঙতেই চোখে পড়ে তখনও শেষরাতের পার্টির আমেজ চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। আর তারই একপাশে স্তূপের আকারে অপেক্ষমান গিফটের বাক্সগুলি। হ্যাঁ ২৬ ডিসেম্বর হল বক্সিং ডে। ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় স্যান্টাক্লজ-সহ পার্টিতে আমন্ত্রিত অতিথি অভ্যাগতরা যেসব উপহার দিয়েছেন সেই সব আজ দেখার দিন।
রঙিন কাগজে মোড়া সারি সারি উপহারের বাক্স দেখলেই একমুঠো আনন্দ যেন কোথা থেকে ছিটকে এসে আমাদের চারপাশটায় ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক উপহারের বাক্স খোলার পালা। তাইতো ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে। একটা করে বাক্স খোলা হয় আর পাল্লা দিয়ে মৃদু হাসি চওড়া হতে থাকে। এ বছর করোনাকাল, সংক্রমণের ভয়ে পার্টি তেমন জমিয়ে হবে কি না ঠিক নেই। তবে উপহার তো আসবেই। আর চিরাচরিত নিয়ম মেনে ২৬ ডিসেম্বর সকালে হলেও শুরু হবে উপহারের বাক্স খোলার পালা। এবার বক্সিং ডের দিনে মেলবোর্নে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামছে অস্ট্রেলিয়া। একে তো ঘরের মাঠে ফেভারিট, তায় প্রতিপক্ষের অধিনায় বিরাটকোহলি ফিরে গিয়েছেন দেশে। স্বভাবতই বক্সিং ডে টেস্ট নিয়ে দারুণ উত্তেজিত স্টিভ স্মিথ। চোটের কথা ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না। প্রথম টেস্টের সবার পারফর্ম্যান্সের উপরে ভিত্তি করে ভারতীয়দলও ঢেলে সাজছে। বক্সিং ডের দিন শুভমন গিলকে ওপেনারের জায়গায় দেখা যেতে পারে।