১৮৮০ সাল থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রতি বছর ১৪ জুলাই আয়োজন করা হয় একটি উৎসবের, যাকে বলা হয় ফ্রান্সের জাতীয় দিবস। এই দিনটি পরিচিত বাস্তিল দিবস নামেও। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম সামরিক প্যারেডগুলির মধ্যে একটি। লুই ষোড়শের শাসনকালে প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল ফ্রান্সে। ১৭৮৯ সালের ৫ মে, একটি সভা আহ্বান করেছিলেন দেশের স্টেট জেনারেল, কিন্তু এই সভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি তৃতীয় রাজ্যের সাধারণ মানুষকে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে যায় সাধারণ মানুষ। ফ্রান্সের এই সাধারণ মানুষ রাজার বিরুদ্ধে শুরু করে বিদ্রোহ।

১৭ শতকে রাজার নির্দেশে, বিপ্লবী এবং নাগরিকদের গ্রেফতার করে রাখা হয় বাস্তিল কারাগারে। এই বন্দীদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করারও অধিকার ছিল না। ফরাসি বিপ্লবের সময়, এই কারাগারটি হয়ে উঠেছিল একটি কঠোর শাসনের প্রতীক। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফরাসি বিপ্লবের সময় বাস্তিল কারাগারের বাইরে জড়ো হয় বিপুল সংখ্যক ফরাসি মানুষ। তারা কারাগারে হামলা করার কারণে কারাগারে উপস্থিত ৭ জন বন্দিকে মুক্ত করা হয়। ফরাসি বিপ্লবের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি ছিল এটি। রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান হিসেবে দেখা হয় এই ঘটনাকে।