নতুন বছর শুরু হলেই আনন্দে মেতে ওঠে গোটা বিশ্ব। কিন্তু ভারতবর্ষে বারো মাসে তেরো পার্বণ হওয়ায়, এখানকার মানুষের মধ্যে আলাদাই উদ্দীপনা দেখতে পাওয়া যায়। তবে কিছু উৎসব রয়েছে যার জন্য গোটা দেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। তার মধ্যে একটি হল বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব। এই উৎসব সবার জীবনে বয়ে আনে আনন্দ। দেশজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয় বসন্ত পঞ্চমী উৎসব (Basant Panchami)। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালন করা হয় এই উৎসব।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, বসন্ত পঞ্চমীর দিন জন্ম হয়েছিল মা সরস্বতীর। তাই এদিন খুব আড়ম্বরের সঙ্গে পুজো করা হয় দেবী সরস্বতীর (Saraswati Puja)। এদিন থেকে শীতকাল শেষ হয়ে শুরু হয় বসন্ত কাল। বসন্ত হল ঋতুর রাজা। ২০২৪ সালে বসন্ত পঞ্চমী উৎসব পালন করা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। বসন্ত পঞ্চমী উৎসব বা সরস্বতী পুজোর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে হলুদ রঙের। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই সম্পর্ক।
শুভ, সমৃদ্ধি এবং সুখের প্রতীক হল হলুদ রং। আমাদের দেশে ঋষি মুনিরা ব্যবহার করেন হলুদ রঙের পোশাক। সূর্যের আলোতেও রয়েছে হলুদ রং, যা শক্তির প্রতীক। বসন্তের আগমনের সঙ্গে কমতে শুরু করে ঠান্ডা আবহাওয়া। গাছে নতুন পাতা দেখতে পাওয়া যায়, চারিদিক ভরে ওঠে রং বেরঙের ফুলে। বর্ষা কালে যেমন চারিদিক সবুজে ভরে ওঠে, তেমনই বসন্ত কালে সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায় হলুদ রং। যেমন চারিদিকে দেখতে পাওয়া যায় হলুদ সরিষা, হলুদ ফুল, হলুদ মথ, হলুদ পোশাক ও হলুদ মিষ্টি।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বৃহস্পতি গ্রহের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে হলুদ রঙের, যা জ্ঞান, বুদ্ধি, শিক্ষা ও পাণ্ডিত্যর প্রতীক। দেবী সরস্বতীর কৃপা যার উপর থাকে সেই ব্যক্তি বুদ্ধিমান এবং শিল্পে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এই সমস্ত কারণেই বসন্ত পঞ্চমীতে পরিধান করা হয় হলুদ রঙের পোশাক, খাওয়া হয় হলুদ খাবার এবং দান করা হয় হলুদ জিনিস। এই সমস্ত কাজ শুভ বলে মনে করা হয়।