
২০২৪ সালের বগলামুখী জয়ন্তী পালন করা হবে ১৫ মে, বুধবার। কুন্ডলিনীর স্বাধিষ্ঠান চক্রকে জাগ্রত করতে সাহায্য করে মা বগলামুখীর মন্ত্র। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, দশ মহাবিদ্যা রূপে পুজো করা হয় মা বগলামুখী। এই কারণে দেশের অনেক রাজ্যে জ্ঞানের দেবী মনে করা হয় তাঁকে। শত্রু থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পুজো করা হয় মা বগলামুখীর। দেবী বগলামুখী পরিচিত পীতাম্বরা, ভালগামুখী, ব্রহ্মাস্ত্র বিদ্যা নামেও ।
রত্নের সিংহাসন হয় দেবী বগলামুখীর। দশমহাবিদ্যার অষ্টম মহাবিদ্যা স্তম্ভনের দেবী হলেন মা বগলামুখী। গোটা বিশ্বে শক্তির মূর্ত প্রতীক হলেন তিনি। শত্রুদের বিনাশ ও বিজয়ের জন্য পুজো করা হয় মা বগলামুখীর। মান্যতা রয়েছে দেবী বগলামুখীর প্রকৃত ভক্তরা তিন জগতে অপরাজেয়। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করে দেবীর প্রকৃত ভক্তরা।
বগলামুখী দেবীর গল্প অনুযায়ী একবার বিশাল বন্যা হওয়ার কারণে সমস্ত জীব এবং সমগ্র সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দেবতারা তখন মহাদেবের কাছে গিয়ে পৃথিবী ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করার অনুরোধ করলেন। মহাদেব বলেন শুধুমাত্র শক্তির দেবী বগলামুখীর ক্ষমতা রয়েছে এই ঝড় শান্ত করার। পৃথিবীকে ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য হরিদ্র সরোবর থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী বগলামুখী। সমস্ত জীব এবং সমগ্র সৃষ্টি রক্ষা করেছিলেন তিনি। সেই দিন থেকেই প্রতিকূলতা ও অমঙ্গল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পুজো করা হয় দেবী বগলামুখীর।