১৮৯৪ সালে ৮ এপ্রিল অর্থাৎ আজকের দিনে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়ের (Bankim Chandra Chatterjee) জীবনাবসান হয়। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা বহুভাষায় অনুবাদ হয়েছে। দেশের গান "বন্দে মাতরম" তাঁকে আলাদা জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। বঙ্কিমবাবুর জনপ্রিয় উপন্যাস "আনন্দমঠ" -এ রয়েছে "বন্দে মাতরম" গানটি। লেখক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হলেও পরে তিনি উপন্যাসেই মনোনিবেশ করেন। ১৩টি উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
তাঁর লেখনির বিষয়বস্তু কখনও সমালোচনামূলক, কখনও ব্যাঙ্গাত্মক, কখনও বিজ্ঞান ভিত্তিক, কখনও বা কৌতুকরসে সমৃদ্ধ। শিল্প সাহিত্য জগতে বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমনকী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যা, সুরেন্দ্রনাথ দত্তের লেখাতেও বঙ্কিমবাুর লেখনির প্রভাব রয়েছে। মৃত্যু বার্ষিকীতে একবার ফিরে দেখা যাক বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যিক কর্মকাণ্ড।
কর্মজীবন ও লেখনি
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে তিনি যশোরের ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে পদোন্নতি হলে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে যান। ১৮৯১ সালে অবসর গর্হণের আগে পর্যন্ত সিভিল সার্ভিসেই কর্মরত ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য লেখনি যথাক্রমে কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯), বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), চন্দ্রশেখর (১৮৭৭), রজনী (১৮৭৭), রাজসিংহ (১৮৬১), দেবীচৌধুরাণী (১৮৮৪)।
সাহিত্য কর্মজীবন ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ
কবি হিসেবে তাঁর লেখক জীবনের সূচনা। তারপরে তিনি উপন্যাস লিখতে শুরু করেন। তাঁর প্রথম বাংলা প্রেমের উপন্যাস দুর্গেশনন্দিনী ১৮৬৫ সালে প্রকাশ পায়। ১৮৮২ সালে প্রকাশিত আনন্দমঠ বঙ্কিমচন্দ্রের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় উপন্যাস। বন্দে মাতরম গানটি তাঁর আনন্দমঠের অংশ যেটি জাতীয় গান হিসেবে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। বাংলা সাহিত্যের দিকপাল তিনি, পথপ্রদর্শক। তাঁর অনুসৃত পথেই ফুলে ফলে ভরে উঠেছে বাংলার সাহিত্য জগৎ।