ভোটার আইডি/ প্রতীকী ছবি (Photo Credit: Twitter)

গুয়াহাটি, ১৭ ফেব্রুয়ারি: গুয়াহাটি হাইকোর্টের (Guwahati High Court) ডিভিশন বেঞ্চ নাগরিকত্ব প্রমাণের প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে, ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তির অধীনে, ভোটার আইডিকে (Voter ID) নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে বিবেচনা করা হবে না। গত জুলাইয়ে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল মুনিন্দ্র বিশ্বাসের করা একটি রিট পিটিশন দায়ের করে তাকে বিদেশী ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানালে সেই পিটিশন খারিজ করে গুয়াহাটি হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে একটি ভোটার তালিকা জমা দিয়েছেন তাতে তার নাম রয়েছে। যার থেকে প্রমাণ হয় তিনি নাগরিক।

তিনি জানান, তাঁর দাদু ১৯৬৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেল থেকে এসে অসমের তিনসুকিয়া (Tinsukia) জেলায় বসবাস শুরু করেন। তিনসুকিয়ায় ১৯৭০ সালে তাঁর বাবার কেনা জমির জন্য একটি রেজিস্টার্ড সেল দলিল জমা দেওয়ার পরেও বিদেশি ট্রাইব্যুনাল তাকে অসমের বাসিন্দা হিসাবে মানতে অস্বীকার করে। এর পাশাপাশি ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নথিভুক্ত রয়েছে তাও জমা দেন। তবুও তাঁকে 'বিদেশী' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপরই তিনি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। আরও পড়ুন, শপথের পর প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা, পাল্টা ধন্যবাদ দিতে ভুললেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী

শুনানি শেষের পর বিচারপতি মনোজিত ভূঁইয়া ও বিচারপতি পার্থিবজ্যোতি সাইকিয়া বিদেশি ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে জানান, একটি নির্বাচনী ফটো পরিচয় পত্র (ইপিআইসি) বা ভোটার আইডি নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে গণ্য করা যাবে না। আদালত জানায়, ১৯৯৭ সালের আগে কোনও ভোটারের তালিকা আবেদনকারী জমা দিতে পারেনি, তিনি তাঁর বাবা-মা যে ১ জানুয়ারী, ১৯৬৬-র আগে অসমে প্রবেশ করেছিলেন তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ।

তবে কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের একটি আদালত জানিয়েছিল ভোটার কার্ডকে নাগরিকত্ব প্রমাণের কার্ড হিসেবে গণ্য করা হবে। এক যুগলকে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী বলে ঘোষণা করে এক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট জানায়, জন্ম শংসাপত্র, আবাস সার্টিফিকেট, বনাফাইড শংসাপত্র, পাসপোর্ট ইত্যাদি যে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে।