
উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলা থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে ৪০ দিনের মধ্যে একটি সাপ একজনকে সাতবার কামড়ায়।তবে প্রথম ছয় দফায় যুবকের কিছুই হয়নি। কিন্তু সপ্তমবার সাপ তাকে কামড়ালে যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। আরও জানা গেছে যে যুবককে যখন তৃতীয়বার একটি সাপে কামড়েছিল, তখন সাপটি সম্পর্কে একটি স্বপ্নও তিনি দেখেছিলেন।যুবকের দাবি সাপ স্বপ্নে তাকে বলেছে বলে - আমি তোমাকে ৯ বার কামড় দেব,অষ্টম বার পর্যন্ত রক্ষা পাবে। কিন্তু নবমবারের মতো কোনো শক্তি, কোনো তান্ত্রিক বা ডাক্তার তোমাকে বাঁচাতে পারবে না। আমি তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যাব। আশ্চর্যের বিষয় হল, শনি ও রবিবার প্রতিবারই সাপে কামড়াচ্ছে ওই যুবক।
সাপে কামড়ানো যুবকের মামা জানান, এবার শনিবার বালাজি মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই সপ্তম বারের মতো কামড়েছে সাপটি। এই ঘটনা দেখে অবাক ওই যুবকের চিকিৎসারত চিকিৎসকরাও। বিকাশ দ্বিবেদী নামে ২৪ বছরের ওই যুবক মালওয়া থানার সৌরা গ্রামের বাসিন্দা। ৪০ দিনের মধ্যে সাত বার সাপে কামড়েছে তাকে। যুবক ও তার পরিবারের সদস্যদের মতে, প্রতিবারই সাপ কামড়ানোর আগেই বিকাশ বিপদ টের পায়। তাই সাপের ক্রোধ থেকে বাঁচতে যুবকটি মাঝে মাঝে তার মামার বাড়িতেও চলে যায়। কিন্তু সেখানেও সাপ তাকে কামড়ায়।
এই মুহুর্তে ওই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তবে সাপে কামড়ানোর পরও রোগী কীভাবে বেঁচে আছে তা নিয়ে বিস্মিত সেখানকার চিকিৎসকরাও। এখন বিকাশের পরিবার সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করছে। সাতবার একই ঘটনা ঘটছে বলে পরিবারের সদস্যরাও খুবই উদ্বিগ্ন। পরিবারের সদস্যরা জানান- বিকাশ স্বপ্নে ৯ বার সাপে কামড়ানোর কথা বলেছিল। তাতে বলা হয়েছিল যে তিনি নবমবারের মতো বাঁচবেন না। এমতাবস্থায়, আমরা ভয় পাচ্ছি যে এটি সত্যি হয়ে যেতে পারে। আমরা কী করব আর কী করব না কিছুই বুঝতে পারছি না।এবার ভাবলাম মন্দিরে যাবো। কিন্তু তার আগেই আবারও বিকাশকে সাপ কামড়ালো। হাসপাতালের ডাক্তার জওহর লাল বলেছেন, যদি বিকাশের ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার মধ্যে জ্ঞান না আসে, তাহলে বড় বিপদ হতে পারে।