নতুন দিল্লি, ২৫ নভেম্বর: বুধবার কাকভোরে প্রায়ত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল (Ahmed Patel)। বাবার মৃত্যুর বেদনাদায়ক খবর জানিয়ে বিবৃতি দেন ছেলে ফয়জল পটেল। তিনি বলেন এদিন ভোর ৩টে বেজে ৩০ মিনিটে বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। কোভিড আক্রান্ত হয়ে তিনি গতমাসে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ২ সপ্তাহে কোভিড পরবর্তী অসুস্থতা জটিল আকার নেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সপ্তাহ খানেক আগে তাঁকে আইসিইউ-তে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখানেই এদিন ভোরে নিভে গেল প্রবীণ রাজনীতিকের জীবন দীপ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়েই আহমেদ পটেলের মৃত্যু হয়েছে।
বাবার মৃত্যুর খবরের বিবৃতিতে ফয়জল পটেল লিখেছেন, “আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে বাবা ২৫ নভেম্বর ভোর ৩.৩০ মিনিটে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।” বাবার অনুরাগীরা যেন বিরাট ভিড় না করে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলেন। এমনই অনুরোধ রেখেছেন ফয়জল। কংগ্রেসের অন্যতম মূল সাংঠনিক নেতা আহমেদ পটেল ১৯৪৯-সালে গুজরাটের বারুচে জন্মগ্রহণ করেন। গুজরাটের সমধিক পরিচিত সংসদ ছিলেন তিনি। বারুচ কেন্দ্র থেকে তিনবার লোকসভায় গুজরাটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আহমেদ পটেল। গুজরাট থেকে আটবার তিনি রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন। ইউপিএ জমানায় কংগ্রেস পার্টির অন্যতম মুশকিল আসান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এই সময় তিনি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। ২০১৭-তে শেষবারের মতো গুজরাট থেকে রাজ্যসভা আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান। এই জয় মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়েছিল। ওই কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করতে মধ্যরাত পেরিয়ে যায়। আরও পড়ুন-Love Jihad Ordinance: 'লাভ জিহাদ' রুখতে নতুন আইনের খসড়া যোগী সরকারে; ৫ বছর জেল, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
@ahmedpatel pic.twitter.com/7bboZbQ2A6
— Faisal Patel (@mfaisalpatel) November 24, 2020
আহমেদ পটেলের মৃত্যু কংগ্রেসের জন্য এটা বিরাট ক্ষতি। এমন একটা সময়ে দুঃসংবাদটি এল যখন নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে অন্তর্দলীয় সংশোধন সম্পর্কে সমবেত আওয়াজ উঠেছে। গত সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তাঁর প্রয়াণে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিতেও শোকের ছায়া। তিনমাস আগে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন বছর ৮৬- তরুণ গগৈ। শেষপর্যন্ত কোভিড পরবর্তী অসুস্থতা তাঁর প্রাণ কাড়ল। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আহমেদ পটেলের প্রয়াণ কংগ্রেস শিবিরের কোমর বেঙে দিল সন্দেহ নেই।