লক্ষৌ, ২২ নভেম্বরঃ ২১ বছর বয়সী নার্সিং ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গে নিজের নাম লিখতে বাধ্য করার অপরাধে এবং তারপরে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার জন্য গ্রেপ্তার করা হল ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে। অভিযোগ অভিযুক্ত ছুরি দেখিয়ে মেয়েটিকে হুমকি দেয়। এমনকি মা-বাবা না মানলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় সে। নির্যাতিতার বাবা-মা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এফআইআর অনুসারে, নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত দুজনেই লখনউয়ের একটি বেসরকারি ইনস্টিটিউট থেকে নার্সিং কোর্স করছেন।
ডিসিপি পশ্চিম চিরঞ্জীব নাথ সিনহা বলেন, "অভিযুক্ত আভেন্দ্র সোনওয়ালি মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব করেছিল এবং তার ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রথমে তার মোবাইল নম্বরটি নথিবদ্ধ করেছিল। সে মেয়েটির সাথে হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে কথা বলতে শুরু করেছিল। সে মেয়েটিকে বলেছিল যে সে তাকে ভালবাসে এবং চায়। মেয়েটি সম্মতি না দিলেও তাকে বিয়ে করবে বলে জানায় সে। মেয়েটি যে ঘরে থাকত সেখানেও সে গিয়ে ছুরি দেখিয়ে কিছু অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে এবং হুমকি দেয় নির্যাতিতাকে, যে তাঁকে বিয়ে না করলে খুব খারাপ পরিণতি হবে।
সম্প্রতি, আভেন্দ্র মেয়েটির কাছে আবার একটি ভিডিও কল করে,তাকে ব্লেড দিয়ে তার হাত ও বুক কেটে রক্ত দেখাতে বাধ্য করে এবং মোবাইলে ভিডিও করে।এবং আরো বলে যে তাকে বিয়ে না করলে সে তাকে এবং তার বাবা-মাকে হত্যা করবে। পরে এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে এবং খবরটি মেয়েটির বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছালে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ডিসিপি পশ্চিম চিরঞ্জীব নাথ সিনহা বলেন "সোমবার, মেয়েটি পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছে যার ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্ত আভেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছি।