উন্নাও, ৬ ডিসেম্বর: পুলিসে খবর দিলে আবার ধর্ষণ করা হবে। ধর্ষণের ভিডিও (Rape Video) ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরালও করে দেওয়া হবে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। ঠিক এইভাবেই দিনের পর দিন উন্নাওয়ের ধর্ষিতাকে ভয় দেখানো হয়েছে! এমনকী যৌনদাসী (Sex Slave) পর্যন্ত করে রাখা হয়েছিল নির্যাতিতাকে। লালগঞ্জে পুলিসের কাছে জমা দেওয়া এফআইআরে (FIR) ঠিক এই মর্মেই গুরুতর অভিযোগ দায়ের করেছেন উন্নাওকাণ্ডের নির্যাতিতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলির আদালতে ধর্ষণ মামলার শুনানি ছিল। সাক্ষ্য দিতে আদালতেই যাচ্ছিলেন উন্নাওয়ের গণধর্ষিতা। সে সময় রাস্তায় তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা হয়। যে পাঁচজন এদিন নির্যাতিতার গায়ে আগুন দেয়, মাস কয়েক আগে তাদেরই গণলালসার শিকার হতে হয়েছিল উন্নাওয়ের ওই যুবতীকে। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিল অভিযুক্তরা। ঘটনার দিন আগুনে পোড়ার জ্বলন উপেক্ষা করে ১ কিলোমিটার ছুটে যান নির্যাতিতা। বাঁচার অদম্য প্রয়াসে প্রাণপণ চিত্কার করেন তিনি। কারও সাহায্য পাওয়ার আশায় চেষ্টার কসুর করেননি। অনেকেরই কানে গিয়েছে সেই আকুল আর্তি। কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি কেউই। অগত্যা নিজেই ওই অবস্থায় ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) ডাকেন। নিজের ফোন নয়, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কারও একজনের ফোন চেয়ে নেন। আরও পড়ুন: Police On Hyderabad Encounter: 'আইন তার কর্তব্য পালন করেছে', হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে জানালেন সায়বেরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার
নির্যাতিতার অভিযোগ রায়বেরিলির যে বাড়িতে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল, সেই বাড়ি থেকে বাইরের দিকে তাকিয়ে অবধি কিছু দেখার অবকাশ দেওয়া হয়নি তাঁকে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, নির্যাতিতার দায়ের করা এফআইআরের কপিতে লেখা হয়েছে এমন তথ্যও। ওই ন্যারেটিভ থেকে বেশ কয়েকটা তথ্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। রায়বেরিলির ওই বাড়ি থেকে বাইরের দিকে তাকালেই তাঁকে বেধড়ক মারধোর করা হত। চলত অকথ্য অত্যাচার, গণধর্ষণ (Gang Rape)। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে ধর্ষণ এবং অমানবিক নির্যাতন করে গিয়েছে শিবম। মোবাইলে সবই তুলে রেখেছিল সে। একথাও জানিয়েছেন নির্যাতিতা। আর সেই ভিডিও ভাইরাল করার নামে দিনের পর দিন চলত আরও অত্যাচার।