নতুন দিল্লি, ১৯ নভেম্বর: সেলফোনের (Cell Phone) পাশাপাশি হোয়াটস অ্যাপে (WhatsApp) নজর রাখছে কেন্দ্র, এমন অভিযোগ তুলেই বেশ কিছু দিন আগে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব রাজ্য ও রাজনীতি। এবার ঘটনায় এল এক নতুন মোড়। হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহার করে সরকার কি নজরদারি চালাচ্ছে? আজ মঙ্গলবার শীতকালীন অধিবেশনে (Winter Session) এই ছিল MDMK সাংসদ এ গণেশমূর্তির প্রশ্ন। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিষণ রেড্ডি (Union Minister Kishan Reddy) জানান, তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৯ ধারা অনুযায়ী, যে কোনও নাগরিকের উপর নজরদারির অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের! যা নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
শীতকালীন অধিবেশনে চলতি এই বিতর্কের জবাব যে সরকারের কাছে বিরোধীরা চাইবে, তা আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই সময় পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এদিন হোয়াটসঅ্যাপে আড়িপাতা নিয়ে বিরোধী আক্রমণের মুখে পড়ে ট্রেজারি বেঞ্চ। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা দাবি করেছিল যে, তাদের পরিষেবা ব্যবহার করে এমন চারটি মহাদেশের অন্তত ১,৪০০জন এই নজরদারির শিকার হয়েছেন। যারমধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক (Journalist), দলিত নেতা, মানবাধিকার কর্মী থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বহু নেতা। যে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ইজরায়েলি সংস্থা NSO-র দিকে। জানা যায়, এক্ষেত্রে 'পেগাসাস' স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল। আরও পড়ুন: Video Call On Landline: ল্যান্ডলাইনেও আসবে ভিডিও কল, জিও দিচ্ছে এমনই সুবিধা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন বক্তব্য সামনে আসার পরই মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) এবং NCP নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলও এহেন অভিযোগ এনেছিলেন। এই বিষয়ে মামলায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় সুপ্রিম কোর্টও (Supreme Court)।