ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ(Photo Credits: Twitter)

নতুন দিল্লি, ১৪ জানুয়ারি: ‘জামা মসজিদ (Jama Masjid) পাকিস্তানে নয়। আপনার ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে এটি পাকিস্তানে অবস্থিত।’ সরকারি আইনজীবীকে মনে করিয়ে দিলেন তিস হাজারি কোর্টের বিচারক কামিনী লাও। দিল্লির দরিয়া গঞ্জে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে জড়িত ছিলেন ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Bhim Army chief Chandrashekhar Azad)। এমনই মনে করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। আজ তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানিতে সরকারি আইনজীবীর বয়ান শুনেই তাঁকে ভৎসর্না করলেন বিচারক। মঙ্গলবার বিচারক কামিনী লাও সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশ্যে জানান যে ভীম আর্মি প্রধানের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে প্রতিবাদ করার। '‌কে বলেছে প্রতিবাদ করতে পারবে না, আপনি কি সংবিধান পড়েছেন?‌’‌ বিচারক সরাসরি প্রশ্ন করেন আইনজীবীকে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারির পর তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন আজাদ। গত ৯ জানুয়ারি দিল্লি আদালতের তরফে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে আজাদকে জেল থেকে এইমসে স্থানান্তরিত করা হোক। যাতে আজাদের রক্ত সংক্রান্ত রোগ পলিসিথিমিয়ার চিকিৎসা হতে পারে। জামিনের আবেদনে আজাদ জানিয়েছিলেন, তিনি যে জামা মসজিদ থেকে দিল্লি গেটের দিকে যাওয়ার সময়ও জনগণকে হিংসাত্মক ঘটনার জন্য করে প্ররোচিত করেছেন এমন কোনও প্রমাণ নেই। কেননা মিছিলটিকে অনেক আগেই পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী দিল্লি গেটের কাছে থামিয়ে দেয়। এরপরেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওআশপাশে থাকা গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনতে প্রতমে লাঠিচার্জ ও পরে জল কামান ব্যবহার করা হয়। আরও পড়ুন-Amartya Sen: ‘প্রতিবাদ করতে গেলে আগে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে’, সিএএ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন

পুরনো দিল্লির দরিয়াগঞ্জ এলাকায় গত ২১ ডিসেম্বর সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন আজাদ। তাঁর দল ২০ মার্চ পুলিশি অনুমতি না নিয়েই জামা মসজিদ থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পদযাত্রার আয়োজন করে। এই প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, “আপনি এমন আচরণ করছেন যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে। এমনকী যদি সেটা পাকিস্তানেও হত, তাহলেও সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করা যেত। অবিভক্ত ভারতের অংশ হল পাকিস্তান।”