সিমলা, ২৫ আগস্ট: চিনের নাগরিক চার্লি পেং-এর নির্দেশে তিব্বতী আধ্যাত্মিক গুরু দলাই লামার উপরে চলছে নজরদারি। এই নজরদারির অভিযোগে হাতেনাতে ধরাও পড়েছে ২ জন। তারপরেই দলাই লামার নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর (Jai Ram Thakur)। ভারতের কাছে পুরোনো অপরাধী চিনা নাগরিক চার্লি পেং। বেআইনি অর্থ লেনদেনের চক্র চালানোর অভিযোগে চার্লি পেংকে ধরে ফেলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস তাকে গ্রেপ্তারও করে। গত ২ থেক ৩ বছরের মধ্যে চিন থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি অর্থ লেনদেনের জন্য ওয়েব অফ শাম সংস্থা তৈরি করে সে।
অভিযোগ, চার্লি পেং এদেশে ঢোকার পর ভুয়ো ভারতীয় পাসপোর্টও তৈরি করিয়ে নেয়। তারপর হাওলায় বেআইনি টাকা লেনদেনের জন্য হাজার কোটি টাকা ব্যবহারও করে সে। চার্লি পেং লান হু নামের এক চিনা মহিলা ও সোনু বাঙটু নামের এক চিনা পুরুষকে দলাই লামার উপরে নজরদারি চালানোর কাজে লাগায়। এই দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে হিমাচল প্রদেশের পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তাদের সঙ্গে চার্লি পেংয়ের যোগসূত্র রয়েছে। চার্লির নির্দেশেই দলাই লামার উপরে নজরদারি চালাচ্ছিল এই দুজন। তবে ধৃত সোনু বাঙটু চিনা নাগরিক নাকি তিব্বতী শরণার্থী তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে দলাই লামার উপরে নজরদারি চালানোর জন্য ও তাঁর সম্পর্কে তথ্য পাচারের জন্য এসকে ট্রেডার্স নামের এক সংস্থার মাধ্যমে চার্লি পেংয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে ধৃতদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। তিব্বতী আধ্যাত্মিক গুরু দলাই লামার চলাফেরার উপরে নজরদারি করার জন্যই ধৃতদের টাকা দিয়েছে চার্লি পেং। আরও পড়ুন-Hong Kong Man: সুস্থ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের সংক্রামিত হংকয়ের প্রযুক্তিবিদ
দুই মক্কেলকেই কড়া পাহারায় রাখা হয়েছে। আইবি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা লান হু ও সোনু বাঙটুকে জেরা করবে। দলাই লামার নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ইতিমধ্যেই রাজ্যপুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ধরমশালার দলাই লামার বাসভবনকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এই ধরমশালাতেই রয়েছে তিব্বতের প্রবাস সরকার।