সুপ্রিম কোর্ট (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ৪ নভেম্বর: ভারতের (India) বেশ কয়েকজন সাংবাদিক (Journalist) এবং মানবাধিকার কর্মীর (Human Rights Activists) উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করে হোয়াটসঅ্যাপ। গত মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি আদালতে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ফেসবুকের (Facebook) মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ অভিযোগ করে এমনটাই। ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও গ্রুপ টেকনলজিস পেগাসাস নামক একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ১,৪০০ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে টার্গেট করেছে বলে দাবি করে তারা। এবার সেই ঘটনায় ভারতীয়দের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি সংক্রান্ত আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অধীনে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-এর তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হল মামলা।

সেই সঙ্গেই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করার কথাও বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতে বহু শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, দলিত কর্মী ও সাংবাদিকদের নিশানা করা হয়েছিল। অত্যাধুনিক নজরদারির মাধ্যমে তাঁদের উপর মে মাস পর্যন্ত নজর রাখা হয়েছিল বলেও জানিয়েও দিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এনএসও গ্রুপ এবং কিউ সাইবার টেকনোলজিসের (Technology) বিরুদ্ধে দায়ের এক মামলায় হোয়াটসঅ্যাপ অভিযোগ করেছে, এই সংস্থাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যালিফোর্নিয়ার আইন এবং হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবার শর্তাবলী লঙ্ঘন করে এই ধরণের কাজকর্ম করেছে। স্মার্ট ফোনে মিসড কলের মাধ্যমে এই স্পাইওয়্যার প্রবেশ করানো হয়েছিল। কিছুক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও ভিডিও লিঙ্কে ক্লিক করলেও এই স্পাইওয়্যার ফোনে প্রবেশ করতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। এনওসি গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমরা সরব হয়েছি এবং সবরকম লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের প্রযুক্তি কখনও মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়নি।” আরও পড়ুন: WhatsApp Refuted Gov's Allegation: 'মে মাসেই আড়ি পাতার বিষয়ে জানানো হয়', কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি খারিজ হোয়াটসঅ্যাপের

হোয়াটসঅ্যাপ-এর এক মুখপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (Indian Express)-কে বলেন, “ভারতের কোন কোন ব্যক্তিদের নিশানায় রাখা হয়েছে, তাঁদের পরিচয় এবং নম্বর আমাদের পক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছে।” হোয়াটসঅ্যাপ-এর ওই মুখপাত্র আরও বলেন, “যে সব ভারতীয় সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে, তাঁদের পরিচয় এবং সঠিক নম্বর প্রকাশ করতে না পারলেও, আমরা এটা বলতে পারি যে এই নম্বরগুলি খুব সাধারণ কারও নয়।”