(Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ২ নভেম্বর: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহারকারীদের একাংশের উপর যে আড়ি পাতার (snooping) চেষ্টা হচ্ছে, সে বিষয়ে মে মাসেই ভারত সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। তড়িঘড়ি সমস্যার মোকাবিলাও শুরু করে দেওয়া হয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানাল হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ কেন্দ্রীয় সরকারের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিবৃতিতে ফেসবুকের মালিকানাধীন এই সংস্থার তরফে বলা হয়েছে যে তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হল ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা ( privacy and security)। মে মাসে আমরা দ্রুত একটি সুরক্ষা ইস্যুর সমাধান করেছি এবং ভারত সরকার ও অন্য আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি।" বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এই সাইবার হামলার পর থেকে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছোনোরও চেষ্টা করা হয়।

বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, "আমরা ভারত সরকারের সাথে একমত। এটা কঠিন। তবু একত্রে কাজ করে আমরা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পারি। আমরা যে প্রোডাক্ট সরবরাহ করি তার মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ সমস্ত ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।" আরও পড়ুন: Twitter To Ban Political Ads: বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ করছে টুইটার

অক্টোবরে শেষে হোয়াটসঅ্যাপ কিছু সংখ্যক ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিককে জানিয়েছিল যে তারা ১,৪০০ জন লোকের মধ্যে রয়েছে যেখানে পেগাসাস (Pegasus) স্পাইওয়্যার (spyware) ব্যবহার করে ইজরায়েলের একটি সংস্থা ব্যবহারকারীর তথ্য হতানোর চেষ্টা করেছে। বিরোধী দল ও সাংবাদিকদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার শুক্রবার এই হোয়াটসঅ্যাপের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চায়। গত জুলাই মাসেই ভারতে এসেছিলেন ফেসবুকের (হোয়াটসঅ্যাপ তাদেরই মালিকানাধীন) সিনিয়র এগজিকিউটিভ উইল ক্যাথচার্ট। ২ মাস পরে আসেন আরও এক উচ্চপদস্থ অফিসারনিক ক্লেগ। সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কয়েক প্রস্থ কথাও হয় তাঁদের। সেই বৈঠকের কথা মনে করিয়ে সরকারের তরফে অভিযোগ তুলে বলা হয় তখন কেন এই বিষয়ে জানানো হয়নি।