আহত সেনাদের হাসপাতালেনিয়ে যাওয়া হচ্ছে(Photo Credit: ANI)

জম্মু ও কাশ্মীর, ১২জুন: ফের জঙ্গি হানার কবলে উপত্যকা। টহলরত সিআরপিএফ জওয়ানদের একটি দলের উপর আচমকাই গ্রেনেড হামলা চালায় দুই জঙ্গি। ঘটনাস্থল, উপত্যকার অনন্তনাগ জেলার ব্যস্ত রাস্তে কে পি চক। আচমকা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলিতে প্রথমেই থমকে যায় পাঁচ জনের দলটি। দঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহিদ হন তিন জওয়ান। বাকিরা ততক্ষমে পাল্টা গুলি বর্ষণ শুরু করেছেন। সেনার গুলিতে এক জঙ্গিও নিকেশ হয়েছে। অন্য জঙ্গির সঙ্গে এখনও গুলির লড়াই জারি রয়েছে। আরও পড়ুন-ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর হতে পারেন প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাংক প্রধান রঘুরাম রাজন

এই আচমকা হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন চারজন। তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত রক্ষী বাহিনীর দুই জওয়ান ও বাকিরা হলেন এক পুলিশকর্তা ও একজন সাধারণ কাশ্মীরি নাগরিকও আহত হয়েছেন। তাঁদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিরাট পুলিশ বাহিনী, এখনও চলছে গুলির লড়াই। তবে কোন জঙ্গি সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে তা এখন জানা যায়নি। শুরু হয়েছে তদন্ত। শুধু দুজন জঙ্গিই হামলা চালাতে এসেছিল, নাকি দলটি আড়ে বহরে বেশ বড় তা জানতে গোটা এলাকায় চলছে তল্লাশি।

উল্লেখ্য ১৪ ফেব্রুয়ারি কালোদিনের পর ফের শহিদের রক্ত মাখল অনন্তনাগ। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায় একই সঙ্গে শহিদ হয়েছিলেন ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ান। সেই রেশ এখনও চলছে। একসঙ্গে বিনা যুদ্ধে এতজন জওয়ানের মৃত্যু মানতে পারেনি গোটা দেশ। তাই প্রথমটায় চুপ করে থাকলেও ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায় বায়ুসেনা। এয়ারস্ট্রাইক-টু নিয়ে গোটা দেশ তথা বিশ্বে আলোড়ন পড়েছিল। এই ঘটনায় নিহত জঙ্গিদের সম্পর্কে কোনওরকম তথ্য প্রকাশেই রাজি হয়নি পাকিস্তান, তাদের তরফে সাফ দাবি করা হয়, এই হামলায় কেউ মারা যায়নি। উল্লেখ্য, ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে উরি হামলার পর একইভাবে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে এসেছিল বায়ুসেনা। এদিকে সামনেই বৈঠকে যোগ দিতে কাজাখস্তান যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ঠিক তার আগেই এই জঙ্গি হানার ঘটনা দুদেশের সীমান্ত বিরোধকে ফের উসকে দিল।