বিহারে সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের (Tejaswi Yadav) নামই নাকি বাদ গিয়েছে তালিকা থেকে। এই ইস্যুতে শনিবার সকাল থেকেই উত্তাল বিহারের রাজ্য রাজনীতি। যদিও পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রহস্য উদঘাটন করা হয়। জানানো হয় যে তেজস্বীর এপিক নম্বর বদলে যেতে পারে, তাই পুরোনো এপিক নম্বর দিয়ে খোঁজার কারণে অ্যাপে তাঁর নাম পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে আবার পাল্টা বিতর্ক শুরু করেন লালুপুত্র। তাঁর বক্তব্য, যদি তাঁর এপিক নম্বর এভাবে বদলে যায়, তাহলে কত মানুষের এভাবে নম্বর বদলে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে চলেছেন অনেকে।
দশ বছর ধরেই একই ভোটার কার্ড ব্যবহার করছেন তেজস্বী
এদিকে এই গরমিলের অভিযোগ নিয়ে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে কমিশন। আর তারপরেই বেরোয় আসল রহস্য। এই বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য, তেজস্বী যাদব যে এপিক নম্বর নিয়ে অভিযোগ করছেন, সেই নম্বর RAB২৯১৬১২০-এর কোনও অস্তিত্বই নেই। দশ বছর পুরোনো নথি ঘেটেও এই নম্বর উদ্ধার করা যায়নি। সম্ভবত, এই এপিক নম্বর কখনও তৈরিই হয়নি। ওই নম্বরের যে ভোটার কার্ডটি আদৌ বৈধ কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে RAB০৪৫৬২২৮ এই এপিক নম্বর বৈধ। ২০২০ সালের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পূরণের সময় হলফনামায় এই নম্বরটি তিনি ব্যবহার করেছিলেন। এমনকী ২০১৫ সালের ভোটার তালিকাতেও এই নম্বরই ছিল।
মুখে কুলুপ তেজস্বীর
লালুপুত্রের এই দাবিকে ভিত্তিহীন, মিথ্যা দাবি বলে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। অমিত মালব্য এই ধরনের ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে রাজ্যবাসীর মধ্যে বিভ্রান্ত না ছড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। যদিও এতকিছুর পর আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদব।