নতুন দিল্লি, ১৪ জানুয়ারি: নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Case) দুই আসামির কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ-বিচারপতির বেঞ্চ দুই আসামি বিনয় কুমার শর্মা (Vinay Kumar Sharma ) ও মুকেশ সিং (Mukesh Singh)-র দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার নির্ভয়াকাণ্ডে চার ধর্ষক ও খুনির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করার নির্দেশ দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট। আগামী ২২ জানুয়ারি চার ধর্ষকের ফাঁসি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। সকাল সাতটায় এদের ফাঁসি দেওয়া হবে। ঠিক তার দু'দিন পরই সুপ্রিম কোর্টে অন্তিম আইনি সম্বল কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করে দুই আসামি বিনয় কুমার ও মুকেশ সিং।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির একটি চলন্ত বাসে নির্মমভাবে ধর্ষণ এবং ভয়াবহ যৌন নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে। ১৩ দিনের লড়াই শেষে ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। এরপর ঘটনায় যুক্ত ছ’জন ধর্ষককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। এক দুষ্কৃতী নাবালক হওয়ার কারণে দু’মাস জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পরে মুক্তি পায়। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জেলের ভিতরে আত্মহত্যা করে। আরও পড়ুন: Nirbhaya Case: অবশেষে সাজা, ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় ফাঁসির দড়িতে নির্ভয়ার ৪ ধর্ষক; রায় দিল পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট। আরও পড়ুন: Nirbhaya Convicts Hanging: নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীসাব্যস্ত চার আসামির ফাঁসির মহড়া হল তিহার জেলে
মঙ্গলবার পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট বলে, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আইনি সাহায্য এরা নিতে পারবে। গত মাসেই অক্ষয় সিং-র রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৭ সালের রায়ে কোনও ভুল ছিল না। নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করার কিছু নেই। মৃত্যুদণ্ডের সাজাই বহাল রাখা হবে। দোষী অক্ষয় ঠাকুরের রিভিউ পিটিশনও খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। অক্ষয় ঠাকুরের পর আর এক দোষী পবন গুপ্তাও আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। পবনের আইনজীবী এপি সিং-এর কথায় ঘটনার সময় অর্থাৎ ২০১২ সালে নাবালক ছিল তাঁর মক্কেল। তাই সাজা যেন জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী হয়।