
দিল্লি, ১০ জুন: মেঘালয়ে হানিমুনে (Meghalaya) গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে (Raja Raghuwanshi) খুন করে সোনম। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের পর সোনম মেঘালয় থেকে পালিয়ে অসমে যায়। সেখান থেকে আবার চলে যায় উত্তরপ্রদেশে। এরপর উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরের কাশি ধাবা থেকে গ্রেফতার করা হয় সোনম রঘুবংশীকে। গাজ়িপুরের (Gazipur) পুলিশ সুপার ইরাজ রাজা (Indore Couple Missing) এমনই জানান। সোনম রঘুবংশীর গ্রেফতারির পর তাকে উত্তরপ্রদেশের সর্দার হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর প্রশাসনের তত্ত্বাবধানেই সোনম রঘুবংশীকে (Sonam Raghuwanshi) রাখা হয়েছে। যেখানে তাকে চিকিৎসা পরিষেবা যেমন দেওয়া হচ্ছে, তেমনি আইনি সাহায্যও সোনম নিতে শুরু করেছে বলে খবর। সর্দার হাসপাতাল থেকে গাজ়িপুরের ওয়ান স্টপ সেন্টারেই সোনম আপাতত রয়েছে বলে খবর।
সোনমের দাবি, সে কাউকে খুন করেনি। রাজা রঘুবংশীকে অপহরণ করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু হত্যা সে করেনি। অর্থাৎ রাজা রঘুবংশীকে হত্যা করেনি বলে দাবি করা হয় ইন্দোরের তরুণী সোনম রঘুবংশীর তরফে।
এদিকে সোনমের বাবা দেবী সিংও মেয়ের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর মেয়ে কখনও খুন করতে পারে না বলে দাবি করেন দেবী। পাশাপাশি সোনম কেন তার স্বামীকে খুন করবে বলেও প্রশ্ন তোলেন দেবী সিং রঘুবংশী নামের ওই ব্যক্তি। তিনি আরও বলেন, গাজ়়িপুরের একটি ধাবায় হাজির হয়ে সোনম ওর দাদাকে ফোন করে। তারপর পুলিশ ওই ধাবা থেকেই সোনমকে পাকড়াও করে।
মেঘালয় পুলিশের আধিকারিক বলেন, সোহরার মত সুন্দর শহরে সোনম ওই স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করেছে। স্বামীকে খুনের পর পালিয়ে যায় সোনম। এরপর ৩ রাজ্য খুঁজে শেষ পর্যন্ত সোনম রঘুবংশীর খোঁজ মিলেছে বলে জানানো হয় মেঘালয় পুলিশের তরফে।
স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের জন্য ভাড়াটেল গুন্ডা নিয়ে আসে সোনম। তারপর সেই ভাড়াটে গুন্ডাদের দিয়েই স্বামী রাজাকে খুন করায় সোনম। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।