মুম্বইয়ের ওরলিতে গাড়ি দুর্ঘটনাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শিবসেনা নেতা রাজেশ শাহের ছেলে মিহির শাহ ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের সেওরি আদালত। জানা যাচ্ছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আর তারপর বুধবার সকালে মিহিরকে আদালতে পেশ করা হয়। তারপর আাদলত নির্দেশ দেয় আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে। অন্যদিকে জেলের বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠ নেতা রাজেশ শাহ। এই ঘটনার পর বিরোধীদের আক্রমণের চাপে পড়ে তাঁকেও এদিন দল থেকে বহিস্কার করা হল। যদিও এখনও পর্যন্তু পুলিশের কার্যকলাপ নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু করেছে কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির) ও এনসিপির নেতারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ দোষীকে বাঁচানোর প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে।

গত শনিবার ভোরবেলায় ওরলিতে (Worli) এক মাছ বিক্রেতার স্কুটারে সজোরে ধাক্কা মারে মিহিরের গাড়ি। যদিও সেই সময় গাড়িতে চালক ছিল। কিন্তু পুলিশের জেরায় চালক জানান, ওই দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই মিহির জোর করে চালকের আসনে বসেন এবং তার আগে সে রাতভর মদ্যপানও করেছিল। দুর্ঘটনার সময় স্কুটারে মাছ বিক্রেতা প্রদীপ নাকভা ও তাঁর স্ত্রী কাবেরি নাকভা ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, মিহিরের বিএমডব্লুউ গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে প্রদীপের স্কুুটিতে। অল্পের জন্য সে বেঁচে গেলেও তাঁর স্ত্রীকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় ওই ঘাতক গাড়ি। এরপর গাড়ির চাকায় দুবার কাবেরির দেহ পিষে দিয়ে মিহির গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়।

তারপর থেকেই গা ঢাকা ছিল রাজেশ পুত্র। অবশেষে গত মঙ্গলবার বান্দ্রার একটি রিসর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় মিহিরকে। ঘটনার পর দাড়ি গোঁফ কেটে সকলের নজর এড়ানোর চেষ্টা করেছিল মিহির। এমনকী ঘটনার পর বান্দ্রায় এসে ফোনে বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাও বলে মিহির। যদিও বিরোধীদের দাবি, শনিবারেই পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ পেয়েছিল। কিন্তু তখন তাঁকে পরীক্ষা করলে রক্তে মাদকের প্রমাণ পাওয়া যেত বলেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।