নতুন দিল্লি, ২৭ জানুয়ারি: ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ না হয়ে পোশাকের উপর দিয়ে নাবালিকার স্তনে হাত দিলে পকসো (POCSO Act) আইনের আওতায় তা যৌন নিগ্রহ হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। সম্প্রতি একটি মামলায় এই রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) নাগপুর বেঞ্চ। আজ বম্বে হাইকোর্টের এই রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বম্বে হাইকোর্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পকসো আইনে সাজা পাওয়া থেকে মুক্তি দেন। যদিও আজ সেই রায়ে স্থগিতাদেশ পড়ল। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠিয়েছে। ২ সপ্তাহের মধ্যে তাকে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে।
২০১৬ সালে অভিযুক্ত নির্জাতিতা নাবালিকাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর স্তনে হাত দিয়ে জামা খোলার চেষ্টা করে। অভিযুক্তর নামে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে এফআইআর করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় ব্যক্তিকে। সেশন কোর্ট তাকে ৩ বছর কারাবাসের সাজা দেয়। এরপর মামলা গড়ায় বম্বে হাইকোর্ট পর্যন্ত। শনিবার এই মামলার শুনানিতে পুষ্পা গানেদিওয়ালা জানান, যেহুতু পোশাক না খুলে অভিযুক্ত নবালিকার স্তনে হাত দিয়েছিল, তাই পকসো আইনের আওতায় তা যৌন নিগ্রহ বলা যাবে না। তবে, ৩৫৪ (শ্লীলতাহানি) ধারায় ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই ধারায় ন্যুনতম সাজা ১ বছরের কারাবাস, পকসো ধারায় যৌন নিগ্রহের ন্যুনতম সাজা ৩ বছরের কারাবাস। আরও পড়ুন: Maharashtra: পাকিস্তানের জেলে ১৮ বছর পার, অবশেষে বাড়ি ফিরলেন হাসিনে বেগম
বিচারপতি বলেন, জামাকাপড় না খুলে যেহেতু ওই ব্যক্তি নাবালিকার বুকে চাপ দিয়েছিল, তাই সেটি যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, সঙ্গম না করে না করে যদি কোনও নাবালিকাকে যৌন ইঙ্গিতে স্পর্শ করা হয়, তা যৌন নির্যাতন বলেই বিবেচিত হবে। তবে পোশাক না খুলে করা ‘হেনস্থা’ পকসো আইনে যৌন নির্যাতন বলে গণ্য হবে না।