Kerala: দলীয় মহিলা কর্মীকে ধষর্ণের দায়ে সিপিএমের দুই নেতা গ্রেফতার
ছবি সংগৃহীত

তিরুবন্তপুরম, ২৮ জুন: কেরলে (Kerala) পরপর দু'বার ক্ষমতায় এসে রেকর্ড গড়ার পর সাম্প্রতিক এক ঘটনায় অস্বস্তিতে সিপিএম (CPM)। উত্তর কেরলের কোঝিকোড় জেলায় এক মহিলা পার্টি কর্মীকে ধর্ষণ ও হেনস্থার দায়ে সিপিএমের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হল। মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুরাজ (Baburaj) ও টিপি লিজেশ (Lijesh) নামের দুই সিপিএম কর্মীকে ধর্ষণ ও হেনস্থার দায়ে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজই তাদের আদালতে পেশ করা হয়। আরও পড়ুন: দুই পায়ে ২ ভিন্ন মানুষ, আসন্ন নির্বাচনে একক না পৃথক ভোটার যমজ ভাই?

এই দুই সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হেনস্থার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বেশ কিছুদিন ধরেই সোচ্চার ছিলেন ভাদাকারা ইউনিটের দলের এক মহিলা কর্মী ও তাঁর স্বামী। গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে লিখিতে অভিযোগে সিপিআইএমের ওই মহিলা কর্মী জানান, মাস তিনেক আগে নির্বাচনী ইস্যু নিয়ে আলোচনা করার বাহানায় তার বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করে যান পার্টির বড় নেতা বাবুরাজ। সেই সময় মহিলার বাড়িতে তাঁর স্বামী ছিলেন না। এরপর বাবুরাজ তার দলের মহিলা কর্মীকে হুমকি দেন ধর্ষণের কথা বাইরের কাউকে বললে, তাঁর স্বামীকে সে সব জানিয়ে দেবে। সেই ভয়ে মহিলা চুপ থাকেন। এরপর গত তিন মাসে বাবুরাজ ভয় দেখিয়ে তাঁকে বারবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন সেই সিপিএম কর্মী সেই মহিলা। বাবুরাজের পাশাপাশি ডিওয়াইএফ আই নেতা লিজেশও তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন সেই মহিলা। প্রথমে আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন সেই মহিলা। কিন্তু পরে বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে মনের জোর বাড়িয়ে সে সব কথা তাঁর স্বামীকে জানান। এরপর তাঁর স্বামী পুরোপুরি সাহায্য করেন তাঁকে। এবং পুলিশের দ্বারস্থ হন।

কিন্তু পুলিশের কাছে ওই দুই নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েও গিয়েও প্রথমে কোনও লাভ হয়নি। তবে স্থানীয় কংগ্রেস, ও বিজেপি নেতা-কর্মীরা সিপিএমের সেই নির্যাতিত মহিলা কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের পর পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সিপিএমের মহিলা শাখার কর্মীরাও দলের ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে সরব হন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে ওই দুই নেতাকে গ্রেফতার করে।

মহিলার শারীরিক পরীক্ষার পর দেখা যায় তাঁর ওপর শারীরিক হেনস্থার ঘটনাও ঘটেছে। সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব ওই দুই নেতাকে পার্টি থেকে সাসপেন্ড করে। স্থানীয় বিধায়ক কে কে রেমা অভিযোগ করেন সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের চাপেই পুলিশ এই কাণ্ডে শুরুতে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।