নতুন দিল্লি, ৩ সেপ্টেম্বর: গোটা দেশে সব নির্বাচন একসঙ্গে করার ব্যাপারে উদ্য়োগী হয়েছে কেন্দ্র সরকার। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন' বা এক দেশ, এক ভোট/নির্বাচন। আর আলাদা আলদা সময় দেশে বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচন নয়। কেন্দ্র চাইছে খরচ ও সময় কমাতে দেশের সব রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একই সময় করাতে। এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আগামী ১৮-২২ সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। জোর জল্পনা, সংসদে বিশেষ অধিবেশনে 'এক দেশ এক ভোট/নির্বাচন'বিল পাশ নিয়ে আলোচনা করতে পারে কেন্দ্র। সংবাদমাধ্যমে এক দেশ এক ভোট-এর পক্ষে সরব হয়েছেন বিজেপি-র নেতা, মন্ত্রীরা। এনডিএ-র বাকি দলেরাও এক দেশ এক ভোট-এর হয়ে গলা চড়াচ্ছেন। এই জল্পনার মাঝে 'এক দেশ এক নির্বাচন' নিয়ে টুইট করলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। টুইটের মাধ্যমে রাহুল লিখলেন, ইন্ডিয়া বা ভারত হল কতগুলো রাজ্যের ইউনিয়ন। 'এক দেশ এক ভোট'হল দেশের সব ইউনিয়ন এবং রাজ্যের ভাবনায় আক্রমণ। আরও পড়ুন- মোদীর সাক্ষাতকার
দেখুন রাহুল গান্ধীর টুইট
INDIA, that is Bharat, is a Union of States.
The idea of ‘one nation, one election’ is an attack on the 🇮🇳 Union and all its States.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 3, 2023
'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন' -বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। এই কমিটিতেই রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রাক্তন সাংসদ গুলাম নবি আজাদ, অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুভাষ সি কাশ্যপ, আইনজীবী হরিশ সালভে ও প্রাক্তন ভিজিলেন্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি-কে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে এই কমিটিতে রাখা হলেও তিনি তা প্রত্যাখান করেছেন।