আমেদাবাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি: ২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সরবমতী এক্সপ্রেসে আগুন (Godhra 2002 Train Coach Fire) ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাতে ৫৯ জন ‘করসেবক’-এর মৃত্যু হয়। সোমবৈর ১৯ বছর আগে ঘটে যাওয়া গোধরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল গুজরাট পুলিশ। ধৃতের নাম রফিক হুসেন ভাটুক। এই গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে পাঁচমহল জেলার পুলিশ সুপার লীনা পাটিল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর আসে যে গোধরা রেলস্টেশনের কাছে সুলতান ফালিয়াতে রয়েছে ভাটুক। তৎক্ষণাৎ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গোধরা কাণ্ডের অন্যতম পাণ্ডা ভাটুক নিজেই সবরমতী এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি ট্রেনের বগিতে পেট্রোল ঢেলেছিল। এরপর সঙ্গে থাকা বাকিরা আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আরও পড়ুন-WB Weather Update: বাগদেবীর আরাধনায় শীতের আমেজ, মিষ্টি রোদ্দুরে জমজমাট সরস্বতী পুজো
এদিকে ভাটুক অবশেষে ধরা পড়লেও এই ঘটনায় জড়িত আরও ৩ অভিযুক্ত সেলিম ইব্রাহিম, সৌকত চরখা এবং আবদুল্লা মজিদ ইউসুফ এখনও ফেরার। পুলিশের অনুমান, এই ৩ জন পাকিস্তানে পালিয়েছে। এতদিন গ্রেপ্তারি এড়াতে বারবার বাসস্থান বদল করেই দিন কাটছিল ভাটুকের। পরিবার নিয়ে কখনও দিল্লি, কখনও বা গুজরাটের সুলতান ফালিয়ায় থাকা শুরু করে সে। সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে সুলতান ফালিয়ায় রয়েছে ভাটুকের পরিবার। এবং সেকারণে দিল্লি থেকে সে প্রায়ই যাতায়াত করছে এখানে। পুলিশের নজর এড়িয়ে গোধরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গুজরাটে ঘুরছে। এই খবর হজম হয়নি। তাই সুলতান ফালিয়ায় জাল পাতা হয়। রবিবার রাতে ভাটুক সেখানে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। গোধরা কাণ্ডের পর গা-ঢাকা দিতে দিল্লিতে আশ্রয় নেয় ভাটুক। বাড়ির আসবাব ও রিকশা বেচে সেখানে দিনমজুরি করত সে।
সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ৫৯ জন ‘করসেবক’-র মৃত্যুর ঘটনা পরের দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি সমগ্র গুজরাট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। সেই হিংসায় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। দু’দশক পরেও সেই গোধার কাণ্ড ও গুজরাট হিংসার ছবি এখনও জ্বলজ্বলে বিনাকারণে বহুপ্রাণ হাঁড়িকাঠে চড়লেও উপরাধী থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরেই। এতদিনেতেমনই একজনকে হাতকড়া পরালো পুলিশ।