মুম্বই, ২৭ নভেম্বর: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেবেন্দ্র ফডনবিশ পদত্যাগ করতে না করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলো কেড়ে নিলেন অম্রুতা ফডনবিশ (Amruta Fadnavis)। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী। তিনি বুঝে গিয়েছেন, এবার যাওয়ার সময় হয়েছে। এক টুইট বার্তায় লিখলেন, আবার ফিরব। পাঁচ বছর ধরে মহারাষ্ট্রের বিজেপিকে ক্ষমতায় রাখার জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদও নেন শ্রীমতি ফডনবিশ। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যে বিজেপির অনুকূলে নয় তা ভালমতোই জানেন তিনি। তাইতো ফের ফেরার আশা চাগিয়ে দিতে চেয়েছেন সমর্থকদের মনে। বলেছেন, মহারাষ্ট্র ধন্যবাদ গত পাঁচ বছর ধরে যে ভালবাসা সমর্থন দিয়েছো তা আমাকে বার বার নস্টালজিক করবে। গত পাঁচ বছরে আমি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেবা করে গিয়েছি।
এদিকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে শিবসেনাকে (Shiv Sena) একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ (Devendra Fadnavis)। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে শিবসেনা, এটা মোটেই ফডনবিশের হজম হচ্ছে না। প্রাক্তন জোট শরিক ক্ষমতার খিদেয় ছটফট করছে, শিবসেনার বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। পদত্যাগ করে তিনি বলেন, বিজেপি এবার থেকে মহারাষ্ট্রে বিরোধীর আসনেই বসবে। শনিবার রাতারাতি শিবির পাল্টে বিজেপিতে ভিড়ে যাওয়ায় অজিত পাওয়ারের সমর্থনে ভর করে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছিলেন ফডনবিশ। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ার। এর পরই বিজেপি বুঝে যায় আর বিধায়ক জোগাড় করা সম্ভব নয়। তার পরই ইস্তফার সিদ্ধান্ত হয়। ফডনবিশ সাংবাদিক সম্মেলনেও সে কথা উল্লেখ করেন। আরও পড়ুন-Maharashtra Politics: মহারাষ্ট্রে নাটকীয় পালাবদল, মুখ চুন বিজেপির; সদর্পে সরকার গড়ছে জোট
पलट के आऊंगी शाखों पे खुशबुएँ लेकर,
खिज़ां की ज़द में हूँ मौसम ज़रा बदलने दे! Thanks Mah for memorable 5yrs as your वहिनी !The love showered by you will always make me nostalgic! I tried to perform my role to best of my abilities-with desire only to serve & make a positive diff🙏 pic.twitter.com/ePUzQgR9o5
— AMRUTA FADNAVIS (@fadnavis_amruta) November 26, 2019
এদিন পদত্যাগ করেই জোটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন ফডনবিশ, শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস কখনওই একমুখী হতে পারবে না কিন্তু এটা এমন একটা গাড়ি, যেটা তিন দিকে টানছে। তিন দল মিলে সরকার গঠনের চেষ্টা করছে বলেই তো তিনি ইস্তফা দিলেন। তাছাড়া বিজেপি প্রথম থেকেই ঠিক করেছিল, ঘোড়া-কেনাবেচা করবে না রাজ্যপালের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র দেব।