নতুন দিল্লি, ২৮ নভেম্বর: নাথুরাম গডসেকে (Nathuram Godse) নিয়ে লোকসভায় বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের (Sadhvi Pragya Thakur) বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। প্রজ্ঞাকে কটাক্ষ করে বৃহস্পতিবার তাঁর টুইটে রাহুল লিখেছেন, "সন্ত্রাসবাদী প্রজ্ঞা দেশপ্রেমী বানিয়ে দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদী গডসেকে। ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এটা বড়ই দুঃখের দিন।" তিনি আরও বলেন, স্বাধ্বী প্রজ্ঞার এই দাবিতেই বিজেপি (BJP) এবং আরএসএসের (RSS) আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে এবং এটা গোপন করা যায় না। রাহুল গান্ধী বলেন, "তিনি যা বলছেন তা আরএসএস এবং বিজেপির হৃদয়, আমি আর কী বলতে পারি? এটি লুকিয়ে রাখা যায় না। আমার সময় নষ্ট করার দরকার নেই। এই মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।"
মহাত্মা গান্ধীর খুনি নাথুরাম গডসেকে বুধবার প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর লোকসভায় দেশভক্ত বলে উল্লেখ করেন। পরে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিরোধীরা কড়া সমালোচনা করে। সাধ্বী প্রজ্ঞার মন্তব্যকে বিজেপির তরফে বৃহস্পতিবার নিন্দা করা হয়েছে। ওই মন্তব্যের জেরে দল যে প্রজ্ঞার পাশে নেই, সাংবাদিকদের তা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডা। নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও। প্রজ্ঞাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকসভার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি থেকে। নাড্ডা পরে সাংবাদিকদের বলেন, "লোকসভার চলতি অধিবেশনে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকগুলিতেও প্রজ্ঞাকে উপস্থিত থাকতে নিষেধ করা হয়েছে।" আরও পড়ুন: Pragya Thakur: বিরোধীদের প্রবল চাপে, সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রতিরক্ষার সংসদীয় কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলল কেন্দ্র
গত লোকসভা ভোটে প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন প্রজ্ঞা। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংকে ৩.৬ লক্ষের বেশি ভোটে হারিয়েছেন। গত কয়েক মাসে দু’টি বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রজ্ঞা। লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলেছিলেন। বিজেপি থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, ওই মন্তব্যের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এরপর গত জুলাই মাসে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীরা এলাকার জলনিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানালে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের নর্দমা পরিষ্কার করার জন্য এমপি হইনি। যে কাজের জন্য নির্বাচিত হয়েছি, তা সৎভাবে করে যাব।"