Pragya Thakur: বিরোধীদের প্রবল চাপে, সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রতিরক্ষার সংসদীয় কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলল কেন্দ্র
সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৮ নভেম্বরবিরোধীদের প্রবল চাপের মুখে পড়ে পিছু হটল কেন্দ্র। বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে প্রতিরক্ষার সংসদীয় কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত বিজেপি সাংসদ কীকরে প্রতিরক্ষা বিভাগের পরামর্শদাতাদের একজন হন তানিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এবার সেই বিতর্কে জল পড়তে চলেছে। বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশেই সাধ্বী প্রজ্ঞাকে এই কমিটি থেকে সরানো হল বলে খবর।তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র বিভিন্ন ধারায় মামলা আছে। তাছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক আইনেও তিনি অভিযুক্ত। অসুস্থতার কারণে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। সেই প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে কনসালটেটিভ কমিটি অন ডিফেন্সের সদস্য, (Parliamentary Consultative Committee) এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী কংগ্রেস।

এক টুইট বার্তায় কংগ্রেসের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তে দেশের সাংসদরা, সম্মানিত প্রতিরক্ষা বাহিনী ও দেশবাসী অপমানিত বোধ করছে। সেই প্রজ্ঞা সিংকে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত পরামর্শকারীর ভূমিকায় বসিয়েছে কেন্দ্র। এটা কিছুতেই বিরোধী কংগ্রেস মেনে নিতে পারছে না। জানা গিয়েছে, এই ২১ সদস্যের কমিটির কাজ প্রতিরক্ষা নিয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া। কমিটির শীর্ষে আছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। উপদেষ্টা কমিটি নিয়ে সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ৩১ অক্টোবর। তাতে দেখা যায়, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ওই কমিটিতে আছেন। তিনি অবশ্য এখন শ্রীনগরে গৃহবন্দি হয়ে আছেন। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে।  আরও  পড়ুন-Sonia Gandhi: কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের গর্ভবতী ও স্তন্যপান করানো মহিলাদের ৬০০০ টাকা নিশ্চিত করুন, মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিলেন সোনিয়া গান্ধী

উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন প্রজ্ঞা। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংকে ৩.৬ লক্ষের বেশি ভোটে হারিয়েছেন। গত কয়েক মাসে দু’টি বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রজ্ঞা। লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলেছিলেন। বিজেপি থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, ওই মন্তব্যের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এরপর গত জুলাই মাসে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীরা এলাকার জলনিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানালে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের নর্দমা পরিষ্কার করার জন্য এমপি হইনি। যে কাজের জন্য নির্বাচিত হয়েছি, তা সৎভাবে করে যাব।”