নয়া দিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর: দীর্ঘদিন বাদে আজ নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)-র সঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র বৈঠক। দিল্লিতে হতে চলা প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। গত পাঁচ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সবচেয়ে চড়া সুরে আক্রমণ হানা দেশের নেতাদের মধ্যে মমতাই এগিয়ে থাকবেন। নোট বন্দি থেকে জিএসটি মোদির সব কাজের চড়া সুরে বিরোধিতা করেছেন মমতা। লোকসভা ভোটে জয়ের পরেও মোদিকে সেভাবে অভিনন্দন জানাননি দিদি। বরং কাশ্মীর ইস্যুতে দেশের অনেক বিরোধী দল মোদির পাশে দাঁড়ালেও, মমতা বিরোধিতায় সোচ্চার হন। সারদা-নারদা সহ বিভিন্ন কাণ্ডে সিবিআই-ইডি তৎপরতা এখন তুঙ্গে। গ্রেফতারির আশঙ্কা রয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারেরও। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সিবিআই ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে রাস্তায় নেমেছেন মমতা।
সেই মমতা আচমকা কেন মোদি-র সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গেলেন তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। মূলত রাজ্যের আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই জানা গিয়েছে।মমতা ব্যানার্জি-র সঙ্গে দিল্লি গিয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। মোদির সঙ্গে বৈঠকের মমতার দিল্লি সফরে কেন আইনমন্ত্রী তা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী নেতারা সরব। আরও পড়ুন-নরেন্দ্র মোদির উপহারের নিলাম, ৫০০ টাকার ফোটো স্ট্যান্ড বিকোল ১ কোটিতে
রাজ্য বিজেপি যেমন মোদি-মমতার বৈঠকের পাল্টা মুকুল রায়-অর্জুন সিংদের দিল্লিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সিপিএম আবার পুরো বিষয়টাকেই গটআপ হিসাবে দেখছে। কলকাতায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিপিএম নেতা তথা বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বললেন, চরম বিপদে পড়ে মোদির দ্বারস্থ হয়ে বাঁচতে চাইছেন মমতা। রাজীব কুমারের যা হওয়ার হয়েছে। এবার পিসি- ভাইপো যাতে বেঁচে যায়, তা কী তিনি যাচ্ছেন?''এমনভাবেই মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ করলেন সুজন। সঙ্গে বললেন, কী করে সেটিং করতে হয় তা মমতার ভাল জানা আছে। সেটা করতেই উনি মোদির সঙ্গে বৈঠক করছেন।