দিগ্বিজয় সিং ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Photo Credits: IANS/Facebook)

ভোপাল, ১০ মার্চ: মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক সংকটে ভুগছে শাসকদল কংগ্রেস। কমলনাথ সরকারের অবস্থা দৌদু্ল্যমান। সোমবার মধ্যরাতে ২০ জন মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডাকা বৈঠকেই পদত্যাগ করেছেন। যদিও কমলনাথের দাবি, রাজ্যের স্থিতাবস্থা ফেরাবেন তিনি। কারণ সাধারণ মানুষ মধ্যপ্রদেশের সরকার গড়েছে। মানুষ তাঁকে ভালবাসে, বিশ্বাস করে। এদিকে মঙ্গলবার সকালেই বিক্ষুব্ধ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে কটাক্ষ করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তিনি বলেন, সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত জোত্যিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia), তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “আমরা সিন্ধিয়াজির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। তবে বারবারই বলা হয়েছে তিনি সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত। সুতরাং এখন কথা বলতে পারবেন না।”

মঙ্গলবার সাতসকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে এই তথ্য দেন দিগ্বিজয় সিং। যাঁরা প্রকৃত কংগ্রেসি তাঁরা কখনওই দল ছেড়ে যাবেন না। তবে যারা জনগণের ক্ষমতাকে অস্বীকার করবেন, তাঁদের সময়মতো জবাব দেবে জনতা জনার্দন। সূত্র বলছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১১ জন কংগ্রেস সদস্য, যাঁদের মধ্যে বিধায়ক সাংসদ দুই রয়েছেন। তাঁদের মোবাইল ফোনগুলি বন্ধই রয়েছে। ২০ জন মন্ত্রী যখন কমলনাথের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন, তারপর থেকেই আর তাঁদের ফোন চলচে না। কমলনাথের সরকার মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। আরও পড়ুন-Madhya Pradesh Government Crisis: বিক্ষুব্ধ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কারসাজি, কমলনাথের সরকারের ২০ জন মন্ত্রীর পদত্যাগ

এর আগেই যদিও বহু কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি মধ্যপ্রদেশের সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ঘোড়া কেনাবেচায় জিততে বিধায়কদের হোটেলে আটকে রেখেছে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা পিসি শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, “পদত্যাগ পত্র হাতে নিয়েই সব মন্ত্রীরা বৈঠকে আসেন। অনুরোধ করি ফের রাজ্যের মন্ত্রিসভার পুনর্গঠন করা হোক। আর বিজেপি যে গর্ত খুঁড়ে ফেলেছে তা বোজানোর চেষ্টা হোক। এখনও সরকার টিকে আছে, পাঁচ বছরের মেয়াদও কাটাবে।” কংগ্রেস নেতা উমাঙ্গ সিংহর জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর ২০ জন মন্ত্রীই পদত্যাগ করেন।