ভোপাল, ১০ মার্চ: মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের (Chief Minister Kamal Nath) মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে ২০ জন মন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন। সোমবার বেশি রাতের দিকে তাঁরা প্রত্যেকেই পদত্যাগ করলেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা পিসি শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, “পদত্যাগ পত্র হাতে নিয়েই সব মন্ত্রীরা বৈঠকে আসেন। অনুরোধ করি ফের রাজ্যের মন্ত্রিসভার পুনর্গঠন করা হোক। আর বিজেপি যে গর্ত খুঁড়ে ফেলেছে তা বোজানোর চেষ্টা হোক। এখনও সরকার টিকে আছে, পাঁচ বছরের মেয়াদও কাটাবে।” কংগ্রেস নেতা উমাঙ্গ সিংহর জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর ২০ জন মন্ত্রীই পদত্যাগ করেন।
যখন জানা গিয়েছিল যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১২ জনেরও বেশি বিধায়ক বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে গিয়ে রীতিমতো বৈঠক করেছে। সেই সময় শাসক কংগ্রেসের গলায় প্রায় তলোয়ার চলছিল আর কি। এরপরেই নিজের বাসভবনে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন কমলনাথ। এত কিছুর পরেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ইতিমদ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের বিধায়কদের ফুঁসলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। এদিকে যেই না পদত্যাগের বহর দেখলেন প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কমলনাথ বলেন, “কোনও রকম অস্থিরতা ছুঁতে দেবেন না মধ্যপ্রদেশকে। মাফিয়ার সাহায্য নিয়ে যারা মধ্যপ্রদেশকে অস্থির করে তুলতে চাইছে, আমি তাদের সফল হতে দেব না। আমরা সব থেকে বড় শক্তিই হল বিশ্বাস ও মধ্যপ্রদেশের মানুষের ভালবাসা। যে সব শক্তি সরকারের স্থিতাবস্থাকে নষ্ট করতে চাইছে তাদের কিছুতেই সফল হতে দেব না। এই সরকার গড়েছে মধ্যপ্রদেশের আমজনতা।” আরও পড়ুন- YES Bank Crisis: চলতি সপ্তাহের শেষেই ইয়েস ব্যাংকের ৫০ হাজার টাকার সীমাবদ্ধতা উঠছে, কেন জানেন?
এই দলে রয়েছেন কংগ্রেসের মন্ত্রী তুলসি সিলাওয়াতের ছেলে বঙ্কিম সিলাওয়াত। সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ পুরুষোত্তম পরাশর, রাজ্যবর্ধন সিং, প্রদ্যুমন সিং তোমর, গিরিরাজ, রক্ষা সিনোরিয়া, যশবন্ত যাদব, সুরেশ ধাকড়, জয়পাল সিং, বিজেন্দ্র যাদব। এই বিজেন্দ্র যাদব জয়পাল সিংয়ের মতো বিধায়করা বেঙ্গালুরুতে উড়ে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের ১০ জন বিধায়ক উধাও হয়ে যান। পরে যদিও আটজন ফিরে আসেন। রবিবার কমলনাথের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের বিসাহুলাল সিং, বলেন তিনি সরকারেই আছেন। বিধায়ক হরদীপ সিং ড্যাং, ও রঘুরাজ সিং কানসানার কোনও খোঁজই নেই।