মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Photo Credits:Social Media)

নন্দীগ্রাম, ১৯ মার্চ: নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার ঘটনায় বিজেপিকেই দোষারোপ করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ তিনি। গতকালও কেশিয়াড়ির সভা থেকে তিনি বলেন, মাথায় মেরেছে, হাতে মেরেছে, হাতটাই বাকি ছিল। আগে সিপিএমের হার্মাদরা মারত, তারাই এখন বিজেপির ওস্তাদ। আঘাতের তত্ত্ব ওড়াতে নারাজ তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র আহত হওয়ার সাতদিন পর নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিরুলিয়া বাজারে গেল ফরেন্সিক টিমের একটি প্রতিনিধি দল। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক টিমের প্রতিনিধি দলটিকে বিরুলিয়া বাজারের ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে কোনও হামলা হয়নি। তাঁর গাড়ির দরজা খোলা ছিল। বাজারের ওই দুই খুঁটিতে গাড়ির দরজার দাককা লাগতেই পায়ে আঘাত পান তিনি। ফরেন্সিক টিম খুঁটিতে ধাক্কার দাগও দেখেছে।

এদিকে গতকাল মমতা বলেন, “পায়ের বদলা মা-বোনেদের পায়ে সম্মান জানিয়ে উসুল করব। হামলা করার পর এবার কুৎসা করছে, চরিত্র হরণ করছে। ওরা জানে মমতা ব্যানার্জি মানে মানুষের এনার্জি। আমার পা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমি না বেরলে বাংলা দখল করে নেবে বিজেপি।” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় গত ১৪ তারিখে রিপোর্ট পেশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষীদের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে এই তত্ত্ব স্পষ্ট। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: সিপিএম সমর্থকদের ত্রাস বুদো আইএসএফ প্রার্থী! আতঙ্কিত জাঙ্গিপাড়া

এর জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে সাসপেন্ড করে কঠোর অবস্থান নেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে, সাসপেন্ড করা হয়পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে। সরিয়ে দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে। গোটা ঘটনাটিকে বিরোধীরা দুর্ঘটনা কম নাটক বেশি বলতেই পছ্ন্দ করছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী এনিয়ে মুখ খোলেননি। শিশির অধিকারী বলেছেন, নন্দীগ্রামের মানুষ ষড়যন্ত্র জানে না।