নতুন দিল্লি, ২৭ নভেম্বর: বুধবার তিহাড় জেলে (Tihar Jail) গিয়ে প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরমের (P Chidambaram) সঙ্গে দেখা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)।গত ২১ আগস্ট সিবিআই দিল্লির জোড়বাংলো থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গত ২২ অক্টোবর আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিনও দেয়। ৭৪ বছরের নেতা এখনও তিহাড় জেলেই রয়েছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি আর্থিক অসঙ্গতির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সেই মামলাতেই চিদাম্বরমের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়েছে। আজ ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিহাড়েই থাকবেন, এমন নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
এজ গান্ধী পরিবারের দাদা-বোন তিহাড়ে গিয়ে পি চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করে এলেন। এর আগে গত সোমবার কার্তি চিদম্বরমকে সঙ্গে নিয়ে তিহাড় জেলে যান কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। পি চিদাম্বরমের এই কারাবাস মেনে নিতে পারেনি কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই বিজেপি সরকার চিদম্বরমকে জেলে পাঠিয়েছে। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ফেঁসে গিয়েছেন পি চিদাম্বরম। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অসঙ্গতি, তছরূপ-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত দুতিন বছর ধরে তাঁকে গ্রেপ্তারির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও ইডি। তবে বার বারই ক্ষমতার প্রভাবে গ্রেপ্তারি এড়াচ্ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করে রাখায় কোনওভাবেই তাঁকে বাগে আনতে পারছিল না সিবিআি। তবে আগস্টে আচমকাই সুপ্রিম রায়ে তাঁর রক্ষাকবচ শেষ হয়ে যায়। চিদাম্বরম বুঝতে পারেন, আর রেহাই নেই। এবার ধরা পড়তেই হবে। আরও পড়ুন-Ajit Pawar: দলে ফিরেই দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ অজিত পাওয়ার, মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাইরে দাদাকে আঁকড়ে সুপ্রিয়া সুলে
Delhi: Congress leaders Rahul Gandhi and Priyanka Gandhi Vadra arrive at Tihar Jail to meet Congress leader P Chidambaram pic.twitter.com/u1wGFv8uuo
— ANI (@ANI) November 27, 2019
২১ আগস্ট গোটা দিন ধরে রীতিমতো চোর পুলিশ খেলা চলে। কংগ্রেস কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। এই গ্রেপ্তারি আটকাতে কংগ্রেস নেতৃত্ব যাবতীয় প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। শেষপর্যন্ত ওইদিন রাতে চিদাম্বরমের বাসভবন জোড় বাংলোর পাচিল টপকে চোরের মতো ঢোকেন সিবিআই কর্তারা। তারপর পি চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই-এর সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকলীন সিবিআই দপ্তরে যে নতুন ভবন নিয়ে বানিয়েছিলেন, সেখানেই চিদাম্বরমের ঠাঁই মেলে।