নতুন দিল্লি, ৫ ফেব্রুয়ারি: ফের নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দালেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার দিল্লিতে নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণ নিয়ে সরব হলেন রাহুল। বললেন, ভারতের ভিত্তিতেই রয়েছে সৌভাতৃত্ব, কিন্তু গত পাঁচ বছরে সেই সৌভাতৃত্ব ও শান্তি এদেশ থেকে অতীত হয়েছে। ইউপিএ জমানায় কীভাবে দেশের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হবে, কর্মসংস্থানে জোয়ার আসবে সেসব ভাবা হত। আর মোদির জমানায় ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে দেশপ্রেমের পাল্লা কার দিকে ভারী তার যাচাই চলছে। গত পাঁচ বছর ধরে দেশ দেখছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আর বেকারত্বের বাড়াবাড়ি। এই যে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগির খেলা দেশজুড়ে চলছে, তা কংগ্রেসের আমলে ছিল না। ভোটাররা খুব শিগগির বিজেপির মনস্কামনা বুঝতে পারবে।
রাহুল গান্ধী বলেন, “গত পাঁচ বছরে ভারতের পরিবেশ খারাপ থেকে খারাপ তম হয়েছে। সেদিকে কি কেউ খেয়াল করেছেন? আগে যেখানে শান্তি সৌভাতৃত্ব বিরাজ করত, এখন সেসব অতীত। এই ভিড়ের মধ্যে বসে থাকা দশ বছরের কোনও নাবালিকা যদি এই বিষয়টি বুঝতে পারে। তবে আমি মনে করি বাকিরাও বুঝবে।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন রাহুল বলেন, “ নরেন্দ্র মোদি ও কেজরিওয়াল চাইছেন দেশপ্রেম শেখাতে। কেউ কর্মসংস্থান বেকারত্ব নিয়ে মুখ খুলছেন না। দেশের প্রতিটি মানুষ আদৌ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ কি না তা জানা মোটেও জরুরি নয়। আসলে দেশপ্রেমের নামে মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ানোই এঁদের লক্ষ্য।” আরও পড়ুন-Parvesh Verma Banned From Campaigning Again: কেজরিওয়ালকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলায় দিল্লিতে নির্বাচনের আগে ফের নিষিদ্ধ প্রবেশ ভার্মা
#WATCH Rahul Gandhi,Congress: In the last 5 years the environment of India has deteriorated, have you noticed? The peace&brotherhood which prevailed earlier is not there. If a 10-year-old girl (sitting in the crowd) can understand that then I am sure others will also understand. pic.twitter.com/ZUhhGQ6EHo
— ANI (@ANI) February 5, 2020
রাহুলের অভিযোগ, কেজরিওয়াল ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই ভোটের নামে জনতাকে বোকা বানিয়েছেন। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অমিত শাহকেও ছাড়েননি রাহুল। বলেন, “তাঁর বক্তৃতা তো শোনারও উপযোগী নয়। আর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনলেই মিথ্যে খুঁজে পেয়ে যাবেন। কিন্তু অমিত শাহর সভা শুনলে আপনি সেটুকুও পাবেন না। তাঁর বক্তৃতা শোনা মানে সময় নষ্ট করা।”