নতুন দিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ব্ল্যাকমেল করার জন্যই দিল্লিতে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করা হল। এটা পুরোটাই বিরোধীদের চাল। পানাজিতে একটি আলোচনাসভায় একথাই বললেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র(Sambit Patra)। তিনি বলেন, “মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভারত সফরে এসেছেন, তখনই সরকারকে ব্ল্যাকমেলিংয়ের জন্য বিরোধীরা এসব পরিকল্পনা করেই করেছে। বিরোধীদের মদতে সিএএ বিরোধীরা এসব ঘটিয়েছে। দিল্লিতে এখন কোনও সমস্যা নেই সব ভালই আছে। দেশে একটা সমস্যার পরিবেশ তৈরি করতেই দিল্লিতে সংঘর্ষ বাধানো হয়েছে। ২০১৫-তে যেমন বারাক ওবামার সফরের সময় গির্জাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানানো হয়েছিল। তার চেয়েছিল সরকারের মাথা যাতে নিচু হয়।”
এদিকে টানা ৪৮ ঘণ্টা হিংসা চলার পর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছিল দিল্লি। সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। গুরু তেঘ বাহাদুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২৭ ছাড়িয়েছে। এই হিংসার ঘটনার দায় দিল্লি পুলিশর ঘাড়েই চাপিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা করতে ছাড়েনি দেশের শীর্ষ আদালত। তবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখে রাতেই জানিয়েছেন, যারা দেশকে ভালবাসে তারা নিজের সম্প্রদায়ও প্রতিবেশীকেও ভালবাসবে, তাদের উপরে আস্থা রাখবে। আর কোনও ভয় নেই। পুলিশ দিল্লির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। ইনশাআল্লা দিল্লিতে শান্তি ফিরছে। আরও পড়ুন-Child Pornography:পর্নোগ্রাফি ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডের জের, মাদুরাই থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
সম্বিত পাত্র জানান, “সিএএ বিরোধীরা চেয়েছিল যেনতেন প্রকারেণ সরকারের মাথা যাতে হেঁট হয়ে যায়। সেই জন্য় ট্রাম্পের সফরকালে সরকারকে ব্ল্যাকমেল করতে দিল্লিতে এমন অশান্তির পরিবেশ তৈরি করল। সরকার বারবার বলছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য তৈরি হয়নি। অধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে। এমন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আগের কোনও সরকার সচেষ্ট হয়নি। এই বড় মাপের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমাদের হাতে এখনও এক বছর সময় আছে।”