Karimpur By-Election: করিমপুরের বুথে গোলমাল, বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মারার অভিযোগ(দেখুন ভিডিও)
জয়প্রকাশ মজুমদার (Photo Credit: ANI)

কলকাতা/করিমপুর, ২৫ নভেম্বর: উপনির্বাচন শুরু হতে না হতেই গোল বাধল করিমপুরের ঘিয়াঘাটে। বুথে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar)। অভিযোগ, সামান্য কথা কাটাকাটি হতে না হতেই তাঁকে লাথি মেরে কার্যত জঙ্গলে পেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি বুথ থেকে ২০-৩০ মিটারের দূরত্বে ঘটেছে। এই ঘটনার পর এলাকা রাজ্যপুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, করিমপুরে ভোট শুরু হতে না হতেই বিভিন্ন বুথে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি প্রার্থী। এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে জয়প্রকাশ মজুমদারের জবাব, বেশ করব। প্রার্থীর বুথে যাওয়ার অধিকার রয়েছে তিনি যাবেন।

জয়প্রকাশবাবু আরও বলেন, “বিজেপি তৃণমূলের বাড়া ভাতে ছাই দিতে এসেছে। এই উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে।” ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে, সেই সময় ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বুথে এসে দেখেন এক প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দুটি ফোন রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। এরপরই দেখা যায়, বুথ লাগোয়া একটি ঘরে ১১ জন মিলে রান্নাবান্না করছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিজেপি প্রার্থীকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁকে লাথি মেরে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ছবিও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। এই ঘটনায় দিল্লিতে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।  আরও পড়ুন-West Bengal By-Election: রাজ্যে তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু, অশান্তির খবর মিলল করিমপুরে

তিনি বিজেপি প্রার্থীকে নির্যাতনের দায়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মুকুল রায় বলেন, "কোনও নির্বাচনে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখেননি। নদিয়ার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত।" একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব করিয়েছেন। উপনির্বাচনে হারবে জেনেই তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।" জয়প্রকাশ মজমদার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন তিনি।