নতুন দিল্লি, ২৯ জুলাই: এমনিতেই শচিন পাইলট শিবিরকে সাসপেন্ড করে আইনি গেরোয় জেরবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো চেপে বসেছে ইডির সমন। ভাই অগ্রসেন গেহলটকে ১০ বছরের পুরনো সার দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি তলব করেছে। ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে অগ্রসেনকে। তার মধ্যেই ইডির গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হতে হবে। সম্ভবত আজ বুধবারই ইডি-র দপ্তরে যাবেন অগ্রসেন। এদিকে শচিন পাইলট শিবিরকে শায়েস্তা করতে আদালতে মামলা পাল্টা মামলায় একেবারে জেরবার অশোক গেহলট। তার মধ্যে ইদানিং রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রর সঙ্গেও তাঁর তেমন বনিবনা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ভাই অগ্রসেনের পিছনের ইডির নজরের নেপথ্যে কেন্দ্রের হাত দেখছে কংগ্রেস।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূরযেওয়ালা বলেছেন, গণতন্ত্রকে অপহরণ করতে চাইছে কেন্দ্রে মোদি সরকার। ১০ বছরের পুরনো সার কেলেঙ্কারির মামলায় হঠাৎ এই সময়েই কেন অগ্রসেন গেহলটকে সমন পাঠাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব। কারও কারও দাবি রাজস্থানে গেহলট সরকারকে ফেলে দিতেই কারসাজি শুরু করেছে বিজেপি। ইডি ও সিবিআই-কে এক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে। যদিও এসব অভিযোগ নস্যাৎ করে কেন্দ্রের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগসাজশ নেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মনে করেছে তাই সার কেলেঙ্কারির মামলায় অগ্রসেন গেহলটকে তলব করেছে। আরও পড়ুন-Donald Trump Jr: করোনা সারাচ্ছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন? ভিডিও শেয়ার করে টুইটারে ব্যান ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র
উল্লেখ্য, ২০০৭-৯ সাল নাগাদ কেন্দ্রের ক্ষমতায় তখন ইউপিএ সরকার। সেই সময় রাসায়নিক সার ভর্তুকিতে কিনে বিদেশে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন অগ্রসেন গেহলট। যা দেশের আইই বিরোধী। ২০১৭ সালে বিষয়টি বিজেপি সরকারের নজরে আসে। অভিযোগ দায়ের হওয়ায় শুরু হয় মামলা। সেই আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত জিক্ষাসাবাদের জন্যই আজ ইডি-র দপ্তরে অগ্রসেন গেহলটের তলব পড়েছে। এদিকে শচিন পাইলট শিবিরকে কাবু করতে এই মুহূর্তেই আস্থাভোটে যাওয়ার তোরজোর শুরু করেছেন অশোক গেহলট। কিন্তু রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের কোনওরকম অনুমতি দিচ্ছে না। তাতে মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। অশোক গেহলটের দাবি, জনতা যদি রাজভবন ঘেরাও করে তবে তার দায় তিনি নেবেন না। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের নির্দেশেই রাজ্যপাল এই কাজ করছেন। যদিও কলরাজ মিশ্রের দাবি, রুলবুক অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।