Photo Credits: ANI

নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, মাঝে মধ্যেই অভিযোগ করেন রাজ্যপালের মাধ্যমে তাঁদের নেতৃত্বাধীন জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা ও অধিকার বিভিন্ন উপায়ে খর্ব করার চেষ্টা চালায় কেন্দ্র। অবিজেপি শাসিত সমস্ত রাজ্যগুলিতে একই চেষ্টা চালানো হয়ে বলে অভিযোগ কংগ্রেস এবং সিপিএম-সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলেরও।

দিল্লিতে তো আম আদমি পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে অভিযোগ করতে দেখা গেছে উপ-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। মানুষ বদলালেও কেন্দ্রের উদ্দেশ্য একই থেকেছে বলে এখনও দাবি তাঁর। এর মাঝেই শনিবার এই বিষয়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা (AAP MP Raghav Chadha)।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এখন একটা ট্রেন্ড (trend) দেখা যাচ্ছে যে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে (Non-BJP ruled states) জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার বা তার মুখ্যমন্ত্রীর (govts/CMs) অধিকার (rights) কেড়ে নেওয়া (snatched) হচ্ছে রাজ্যপাল (Governor) বা উপ-রাজ্যপালের (LG) মাধ্যমে। সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) রাজ্যপাল বলেছেন বিধায়ক সেন্থিল বালাজি (MLA Senthil Balaji) মন্ত্রী (minister) হওয়ার যোগ্য নয়। সংবিধানে (minister) পরিষ্কার বলা হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুরো ক্ষমতা রয়েছে নিজের পছন্দমতো মন্ত্রিসভা (cabinet) তৈরি করার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ট্রেন্ডটা দেশের পক্ষে খুব বিপজ্জনক (dangerous)। আমি মনে করি ঔপনিবেশিক হ্যাংওভার (colonial hangover) কাটিয়ে রাজ্যপাল ও উপ-রাজ্যপালের পদ বিলুপ্ত (abolished) করে দেওয়া উচিত।" আরও পড়ুন: Odisha Train Accident: ওডিশায় এবার লাইনচ্যুত মালগাড়ি