Vizag Gas Leak: ভাইজ্যাগ গ্যাস দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর, এলজি পলিমারের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার ইঙ্গিত রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর
নরেন্দ্র মোদি (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৭ মে: বিশাখাপত্তনম গ্যাস দুর্ঘটনার পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। একই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। গ্যাস দুর্ঘটনার খবর হতেই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীকে তা জানান জগনমোহন রেড্ডি। উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধারকাজ নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তথ্য দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই মর্মে বেলা ১১ টা নাগাদ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। এনিয়ে আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরেছেন তিনি।

এই গ্যাস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনের প্রাণ গিয়েছে। এদিকে এই গ্যাস দুর্ঘটনার দায়ভার এলজি পলিমার ইন্ডাস্ট্রির উপরে চাপিয়েছেন অন্ধ্রপ্রশের শিল্পমন্ত্রী এমজি রেড্ডি। এএনআই-এর এক টুইট অনুসারে রেড্ডি বলেছেন, “কারখানা থেকে বিষাক্ত ছড়াচ্ছে, খবর পেয়েই লকডাউন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এরপর নির্গত গ্যাসকে নিরীহ তরলে পরিণত করা হয়। তারপরেও কিছুটা গ্যাস বাইরে বেরিয়ে যাওয়াতে লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই এলজি পলিমারস একটি দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্থা। ইতিমধ্যেই সংস্থাটি এই দুর্ঘটনার যাবতীয় কারণ, কী কী প্রোটোকল মানা হয়েছিল আর কী কী মানা হয়নি তার ব্যাখ্যা করেছে। সংস্থার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করা হবে।” আরও পড়ুন- Vizag Gas Leak: ‘বিশাখাপত্তনমে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস লিকের ঘটনায় সকলের সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করি’ টুইট বার্তায় নরেন্দ্র মোদি

তথ্য বলছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৭ জন উদ্ধারকার্য শুরু করেন। তাঁরা প্রত্যেকেই কারখানার গ্যাস দুর্ঘটনার বিশেষজ্ঞ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিজি এসএন প্রধান জানিয়েছেন, স্থানীয়রা গলা ও ত্বকে জ্বালা ওবং বিষাক্ত সংক্রমণের কথা বলেছেন। ১ হাজার থেকে ১৫০০ বাসিন্দাকে উপদ্রুত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া বাসিন্দাদের মদ্যে ৮০০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রথম এলজি পলিমার ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিষাক্ত বেরতে শুরু করে। খবর পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠে জেলা প্রশাসন।