তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) ভোটার কার্ড নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে দানা বাধছে রহস্য। কয়েকদিন আগে তিনি যে ভোটার কার্ড দেখিয়েছিলেন, সেটির কোনও অস্তিত্ব নেই বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। উল্টে ভোটার তালিকায় যে এপিক নম্বরের উল্লেখ রয়েছে, সেই নম্বরের কার্ড তেজস্বীর কাছে নেই বলে পাল্টা দাবি লালুপুত্রের। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য তেজস্বী যে ভোটার কার্ড দেখাচ্ছিলেন, সেটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনী নিবন্ধন কর্মকর্তা। তবে ৩-৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই কার্ড জমা দেননি তিনি।
নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন
এই নিয়ে আবারও কমিশনের পক্ষ থেকে লালুপুত্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার তেজস্বীকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আগামী ২ অগাস্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে ভোটার কার্ড সাংবাদিক বৈঠকে দেখিয়েছিলেন, সেই কার্ডের তথ্য তেজস্বী যাদবকে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে তিনি কোনও যোগাযোগ করেননি। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার জন্য ৮ অগাস্টের মধ্যে তাঁকে সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার পুনরায় অনুরোধ করা হল।
পাল্টে গেল তেজস্বীর এপিক নম্বর
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিহারে সংশোধিত ভোটার তালিকা খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। আর সেই খসড়ায় খোদ তেজস্বী যাদবের নাম বাদ গিয়েছে বলে দাবি করা হয়। এই নিয়ে লালুপুত্র নিজেই একটি ভোটার কার্ড দেখিয়ে অভিযোগ করেন। পরবর্তীকালে কমিশনের পক্ষ থেকে যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় সেটিতে ছিল ভিন্ন এপিক নম্বর। এই নিয়ে শুরু হয় ভিন্ন রাজনীতি।