
দিল্লি, ২১ মে: জ্যোতি মালহোত্রার (Jyoti Malhotra) গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর সম্পর্কে একের পর এক ভয়াবহ এবং বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, দেশের সঙ্গে 'গদ্দারি' (Pakistani Spy) করতে করতেই জ্যোতি মালহোত্রার পাকিস্তানে বিয়ের সাধ জাগে। তার জেরেই পাক অফিসিয়ালের কাছে জ্যোতি মালহোত্রার আবদার যায়, তার বিয়ের (Wedding) ব্যবস্থা যাতে পাকিস্তানে করা হয়। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। এবার প্রকাশ্যে এল এমন খবর। যেখানে পাকিস্তানি আধিকারিকের কাছে জ্যোতি আবদার করে, তার বিয়ের ব্যবস্থা যাতে পাকিস্তানে করে দেওয়া হয়।
চরবৃত্তির অভিযোগে গত সপ্তাহে হরিয়ানার ইউটিউবার (Haryana YouTuber) জ্যোতি মালহোত্রাকে গ্রেফতার করা হয়। জ্যোতির গ্রেফতারির পর তাকে টানা জেরা করছে পুলিশ, আইবি এবং এনআইএ। একটানা জেরার মাঝে এবার জ্যোতির বিস্ফোরক দাবির কথাও উঠে এল।
জ্যোতি মালহোত্রা জেরায় স্বীকার করেছে দিল্লিতে যে পাকিস্তানি হাইকমিশন রয়েছে, সেখানকার অফিসার দানিশের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিদূঁরের পর সংশ্লিষ্ট পাক অফিসিয়ালকে 'অবাঞ্ছিত' বলে ঘোষণা করে দিল্লি। এরপরই দানিশ পাকিস্তানে ফিরে যায়। এবার সেই অবাঞ্ছিত ঘোষিত পাক অফিসিয়ালের সঙ্গে জ্যোতির নিরন্তর যোগাযোগ ছিল বলে সে জেরায় স্বীকার করেছে। ফলে জ্যোতির চরবৃত্তির জাল দেশের কোথায় কোথায় বিস্তৃত, তা নিয়ে তদন্ত, তল্লাশি শুরু হয়েছে জোর কদমে।
আমায় বিয়ে করো
প্রসঙ্গত 'পাকিস্তানেই আমায় বিয়ে করো', জ্যোতির এমন আবদার কি পাক অফিসিয়াল দানিশের কাছেই ছিল, এমন প্রশ্ন উঠছে।
জ্যোতির একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
জেরায় উঠে এসেছে, জ্যোতি মালহোত্রার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা। যে অ্যাকাউন্টগুলিতে দুবাই থেকে আর্থিক লেনদেন হত। 'ট্রাভেল উইথ জো' নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে জ্যোতির যে রোজগার হওয়ার কথা, তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তার চেয়ে দ্বিগুন লেনদেন হয়। ওই বিপুল অর্থ জ্যোতিকে কি পাকিস্তান থেকেই পাঠানো হত না অন্য সূত্রও রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
দানিশ থেকে আলি আওহান
পাক হাই কমিশনের অফিসার দানিশ জ্যোতি মালোহোত্রাকে আলি আওহান নামে এক ব্যক্তির (পাকিস্থানি) সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর আলি আওহান জ্যোতির সঙ্গে শাকির এবং রানা শেহবাজ়ের পরিচয় করায়। শাকিরের নাম জ্যোতির ফোনে সেভ করে দেয় একেবারে ভারতীয় নাম করে। এরপর শাকির এবং রানা শেহবাজ়ের সঙ্গে জ্য়োতির নিরন্তর যোগাযোগ হত হোয়াটস অযাপ, স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে। ফলে জ্যোতি কোথায় কোথায় গিয়েছে এবং কার সঙ্গে ভারতের গোপণ তথ্য বিনিময় করেছে, তার খোঁজ শুরু হয়েছে।