চণ্ডীগড়, ২৭ অক্টোবর: জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাশকতা চালানোর ছক কষছে খালিস্তানি টেরর মডিউল। এই দলটি পাকিস্তান ও জার্মানি থেকে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। পাঞ্জাব পুলিশের দেওয়া এই তথ্যের পরে পরেই আটারি সীমান্তে পাকিস্তানি ড্রোনের (Pakistani drone) দেখা মিলল। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল হামলা চালাতে পাকিস্তান নয়া ছক কষছে। নিয়ন্ত্র্ণরেখা বরাবর ড্রোনে করে অস্ত্রশস্ত্র ফেলে যাওয়া হবে জঙ্গিদের জন্য। আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা বারুদ সবই বয়ে নিয়ে আসবে পাকিস্তানি ড্রোন। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর পাকিস্তান পাঞ্জাব (Indo-Pak border) সীমান্তে শুরু হয় কড়া নজরদারি। আর এই নজরদারিতেই আটারি সীমান্তে ধরা পড়ল পাকিস্তানি ড্রোন। সেটিকে গুলি করে নামিয়ে হেফাজতে নিয়ে পাঞ্জাব পুলিশ।
ড্রোনটিতে কোন অস্ত্রশস্ত্র, জাল নোট বা ড্রাগ লুকিয়ে রাখা আছে কি না তা জানতে চলছে তল্লাশি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান এই ড্রোনের পিছনে সম্ভববত জইশ ও খালিস্তানি জঙ্গিদলের যৌথ প্রয়াস কাজ করছে। জঙ্গি নাশকতা চালাতে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অস্ত্র ফেলে যাবে পাকিস্তানি ড্রোন। বেশ কিছুদিন ধরে এই খবরে সরগরম পাঞ্জাব, এই প্রসঙ্গে বুধবার দক্ষিণ পশ্চিম কম্যান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অলোক সিং ক্লেয়ার (Lt Gen Alok Singh Kler) রীতিমতো আশ্বাস দিয়ে বলেন উদ্বেগের কিছু নেই। ভারতীয় সেনারা সবসময়ই অস্ত্র সঙ্গে রাখেন। এমন কোনও যন্ত্র সীমান্ত এলাকায় চোখে পড়লে তারজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তৈরি সেনাবাহিনী। আর যদি কোনও পাকিস্তানি ড্রোনকে সীমান্ত পেরিয়ে এদিকে আসতে দেখা যায় তাহলে গুলি করে নামানোর নির্দেশ দেওয়াই আছে। এদিকে গত রবিবারই পাঞ্জাব পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে জইশ জঙ্গি সঙ্গে হাত মিলিয়ে খালিস্তানি টেরর মডিউল হামলার ষড়যন্ত্র করছে। সীমান্ত লাগোয়া শহরগুলিতে একের পর হরতালের পরিকল্পনা করছে মডিউলটি। সেই মতো ড্রোনে চেপে পাকিস্তান থেকে আসছে অস্ত্রশস্ত্রও। NRC: NRC-র তালিকা থেকে বাদ পড়া ভোটাররা দিতে পারবে ভোট, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এক টুইট বার্তায় জঙ্গিন হানার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। জানান, সীমান্তে নাশকতা চালানোর জন্য পাকিস্তানি ড্রোনে অস্ত্র, গোলাবারুদ আনা হচ্ছে। যেগুলি নিয়্ন্ত্রণরেখার এপারে সরবরাহ করা হবে। বিষয়টি দেখার জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন। তাঁর মতে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর এই ড্রোন পাঠানো হল পাকিস্তানের আরও এক দুষ্টু বুদ্ধি।