রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Photo Credit: IANS)

দিল্লি, ৭ সেপ্টেম্বর: সোমবার আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও স্লোভানিয়া সফরে বের হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। এদিকে শনিবারই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি (Shah Mehmood Qureshi) জানিয়ে দিলেন, বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় পাকিস্তানের এয়ার স্পেস (airspace) ব্যবহার করতে পারবে না, ভারতের রাষ্ট্রপতির বিমান। কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নিয়েছে ভারত তারপর এই প্রথম রাষ্ট্রপতির বিমানের জন্যআকাশ সীমা ছাড়তে নারাজ ভারত। এর উত্তরে দিল্লির কূটনীতিকরা কোনও মন্তব্য না করলেও একটা জিনিস স্পষ্ট যে পাকিস্তান নিজের ক্ষতিই সাড়ম্বরে ডাকল। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি নাশকতার পর ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায়। তারপর ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের জন্য সেখানকার আকাশ সীমা বন্ধ করে দিয়েছিল।

তা-ও বেশ কয়েকমাস কেটে গিয়েছে। এর মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাজাখস্তান সফরে গেলে পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়, তিনি সেদেশের আকাশ সীমা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পত্রপাঠ পাকিস্তানের এই মহানুভবতা নাকচ করে দেয় নয়াদিল্লি। সাপ জানানো হয়, ভারতীয়দের বিমানের জন্য যখন পাকিস্তানের আকাশ সীমা ব্যবহার নিষিদ্ধ তখন দেশের প্রধানমন্ত্রীও তা ব্য়বহার করবেন না। এর জেরে যদি যাতায়াতের খরচ বাড়ে তবে তাতেও ক্ষতি নেই। পরে সৌদি আরবের চাপে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তারপর সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু যেই না গতমাসের পাঁচ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ স্টেটাস তুলে নিল ভারত, সঙ্গে সঙ্গেই যাবতীয় শত্রুতার বাতাবরণ তৈরি  করে ভারতকে নখ দাঁত দিয়ে আক্রমণে গেল পাকিস্তান। আরও পড়ুন-‘কাশ্মীর পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা, সেখানে হাত পড়লে তো দেশের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে চলে আসে’ ইমরান খান

ফের ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হল পাকিস্তানের আকাশ সীমা। কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তথা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর পরই পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছিল, ভারতীয় কোনও বিমান তাদের আকাশ সীমায় ঢুকতে পারবে না। বাণিজ্যিক তথা বেসরকারি বিমানগুলিকেও ঘুর পথে যেতে হবে। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও চলছে। এর মধ্যেই ইসলামাবাদ জানিয়ে দিল, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিমানও পাক আকাশ সীমায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। শনিবার পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমন ঘোষণা করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। মূলত কাশ্মীর নিয়ে ভারতের এহেন সিদ্ধান্তের কারণেই পাকিস্তান এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।