আগামী ২৪ জুন লোকসভায় বিশেষ অধিবেশন। তার আগেই স্পিকার পদের জন্য কার্যত ঘরে বাইরে প্রবল চাপে রয়েছে বিজেপি। এমনিতে এই পদে শাসক দল এমন কাউকে বসায়, যার মাধ্যমে লোকসভায় নিজেদের রাশ ধরে রাখতে পারে তাঁরা। কিন্তু এবার এই পদের জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে টিডিপি। অন্যদিকে আবার ডেপুটি স্পিকারের দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। এবারে এমনিতে পরনির্ভশীল রয়েছে বিজেপি। টিডিপি এবং জেডিইউ-র সমর্থন না পেলে অনায়াসেই ইন্ডিয়া জোট সরকার করে নিত। যদিও বিরোধীদের এখনও আশা রয়েছে যে এই সরকার পাঁচ বছরের সময়সীমা পেরোতে পারবে না। ফলে এই চাপের কারণে টিডিপি বা জেডিইউকে বেশি প্রাধাণ্য দিতে হচ্ছে মোদী-শাহদের।

ফলে আগামীদিনে বিজেপির কোনও নেতা স্পিকার পদ পায় নাকি টিডিপির কেউ স্পিকার হয় সেটা সময় গড়ালেই জানা যাবে। এদিকে এই নিয়ে ওম বিরলাকে (Om Birla) প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এই নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। এগুলি রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে। আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না"। জল কোনদিকে গড়াবে সেটা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে। তবে এই নিয়ে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট বলেন, বিজেপি যদি স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের পদ নিজেদের কাছে ধরে রাখে তবে আগামীদিনে ঘোড়া কেনাবেচার জন্য তাঁদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

আগামী ২৪ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত হওয়া বিশেষ অধিবেশনের মধ্যে ২৬ জুন স্পিকার পদের জন্য নির্বাচন হবে। এবারের নির্বাচনে বিরোধীরাও প্রার্থী দেবে। এমনকী ডেপুটি স্পিকার পদ গত ৫ বছর ধরে বন্ধ রেখেছিল বিজেপি। সেটি চালু করার দাবি জানিয়েছে তাঁরা। সেখানে অবশ্যই বিরোধীরা চাইবে যে তাঁদের প্রার্থী থাকুক। সেক্ষেত্রে বিধানসভায় স্পিকারের অনুপস্থিতিতে ডেপুুটি স্পিকার অধিবেশন চালাবে। আর ডেপুটি পদে মুখ্য স্পিকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে এতে বেশ সমস্যায় পড়বে এনডি শিবিরয