Odisha Shocker: ভাইয়ের প্রাণ বাঁচেনি, জাদুকর মহিলার মাথা কেটে থানায় আত্মসমর্পণ দাদার
প্রতীকী ছবি (Photo Credits: PTI)

ভুবনেশ্বর, ১৭ জুলাই: কালো জাদুর বলে ভাইয়ের প্রাণ বাঁচানো যায়নি। জাদুকর মহিলার মাথা কেটে ফেলল মৃত যুবকের দাদা। জানা গিয়েছে ওই মহিলাই অভিযুক্তকে বলেছিলেন, তিনি কালো যাদু জানেন। তার বলে অসুস্থ যুবকের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারবেন তিনি। কার্যক্ষেত্রে কিন্তু যাদু বিদ্যা খাটল না। অসুস্থ যুবকের প্রাণ চলে গেল। এরপরেই বিরক্ত দাদা, মহিলার মাথা কেটে হত্যা করল। সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, মহিলাকে খুনের পর কাটা মাথা ও রক্তমাখা কুড়ুল নিয়েই থানায় চলে আসে অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম কার্তিক কেরেই। তার বাড়ি ওড়িশার (Odisha) জয়পুর জেলার ছাতরা গ্রামে।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন কার্তিকের তুতো ভাই। লোকমুখে খবর পান নন্দিনী পূর্তি নামের ওই মহিলা কালো যাদু জানেন, এবং তার সাহায্যেই প্রচুর রোগীকে সুস্থ করেছেন। অসুস্থ ভাইকে নিয়ে এলে কার্তিককে ওই মহিলা আশ্বাস দেন যে তার ভাই সুস্থ হয়ে উঠবে। আরও পড়ুন-COVID-19 Cases In India: একদিনে আক্রান্ত প্রায় ৩৫ হাজার, ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ১০ লাখ

পুলিস জানিয়েছে, নন্দিনী পূর্তি যাদুকরী কর্মকাণ্ড চালানোর পর ভাইকে বাড়িতে নিয়ে আসে কার্তিক। তবে সুস্থ হওয়া দূরে যাক, ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। তড়িঘড়ি ভাইকে কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। নন্দিনীর কালো জাদু কাজে আসেনি, বাই চলে গেছে। রেগেমেগে কুড়ুলের আঘাতে নন্দিনীকে খুন করে কার্তিক। খুনের পর কাটা মুণ্ডু হাতে করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। গত দুনে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় একই ঘটনা ঘটেছিল। ৩০ বছরের যুবক কালো যাদু সন্দেহে খুড়িমার মাথা কেটে দেয়। তারপর কাটামুণ্ডু নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করে।