Crime Representational Image (Photo Credit :PTI)

বেঙ্গালুরু, ২২ সেপ্টেম্বর: আত্মহননের আগে দুই নাবালিকা কন্যাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মায়ের৷  ২০ তারিখে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ডিব্বুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে৷ আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টায় রত মহিলার নাম বড়লক্ষ্মী৷ প্রতিবেশীরা তাঁকে কোনওরকমে উদ্ধার করেন৷ এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই মহিলা৷ দুই মেয়ের মধ্যে বড়জনের মৃত্যু হলেও ছোটটি পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছে৷

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তথ্যানুসারে স্বামী পুত্তারাজু করোনায় প্রাণ হারানোর পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন বড়লক্ষ্মী৷ গত সোমবার তিনি দুই মেয়ে দিব্যাশ্রী(১২) ও মুগ্ধা (৮)-কে দড়ির ফাঁসে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন৷ একই সঙ্গে নিজেকেও শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন৷ যখন বড়লক্ষ্মী ও দিব্যাশ্রী আত্মহননের জন্য প্রস্তুত তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাহায্যের জন্য চেঁচামেচি করে৷ আরও পড়ুন-Rare Black Panther Spotted In Mahabaleshwar: প্রতাপগড় দুর্গ চত্বরে ঘুরছে বিরল প্রজাতির ব্ল্যাক প্যান্থার, ভাইরাল ভিডিও

প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি এসে দড়ির ফাঁস থেকে মা ও মেয়েকে নামায়৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেয়ে দিব্যাশ্রীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা৷ তবে বড়লক্ষ্মীর চিকিৎসা চলছে, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাবার মৃত্যুর পর মা দুই মেয়েকে সেভাবে দেখাশোনা করতে পারছিলেন না৷ তাই বড়লক্ষ্মী মেয়েদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে আত্মহননই একমাত্র মুক্তির উপায়৷ মেয়েদের নিজের হাতে ফাঁস লাগানোর শক্তি ওই গৃহবধূর ছিল না৷ ছোট মেয়ে মুগ্ধা হয়তো শেষ মুহূর্তে ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়৷ বড়মেয়ে দিব্যাশ্রী নিজেই আত্মঘাতী হয়েছে না কি তাদের মা গলায় ফাঁস পড়িয়ে দিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা রুজ করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷

এই ঘটনার পর আপাতত মামার সঙ্গে থাকছে মুগ্ধা৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য জানিয়েছেন কোভিডে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই বড়লক্ষ্মীর মানসিক স্থিতি নষ্ট হয়ে যায়৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷