প্রতীকী ছবি

পরিবারের ছয়জন সদস্য মিলে ধর্ষণ করে ১৮ বছরের একটি মেয়েকে। তাঁকে বাধ্য করে বিষ পান করায়। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে নির্যাতিতা। উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট জেলার ঘটনা ( Uttar Pardesh Shocker)। পরিবারের ৬ সদস্য দ্বারা ধর্ষণ হয় মেয়েটি। ভর্তি বেসরকারি হাসপাতালে।

নববর্ষের দিন মেয়ের সঙ্গে এমন পাশবিক আচরণ হতে দেখে মা। পুলিশকে জানায়, ১ জানুয়ারি তাঁর মেয়ে বেরিয়েছিল। তখনই মূল অভিযুক্ত তথা প্রতিবেশী কমল কুমার জোর করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায় মেয়েকে। সেখানে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। মারধর করে। খুন করার উদ্দেশ্যে নিয়ে বাধ্য করে বিষ পান করায়। মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে যায় মা। কিন্তু দরজা কিছুতেই খোলে না তাঁরা। এরপর নির্যাতিতার দেহ ফেলে দিয়ে যায় তাঁর বাড়ির সামনে। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় ছুটে যায় মা। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করতে শুরুতে অস্বীকার করেন উত্তরপ্রদেশের জাহানাবাদ থানার পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীকালে সিনিয়র অসিফারদের নির্দেশে দায়ের হয় অভিযোগ।

ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কমল কুমার এবং তাঁর বাবা, মা, ছোট ভাই, বোন এবং ঠাকুমার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩২৮ (বিষ পানে বাধ্য করা), ৩২৩ (আঘাত করা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক হুমকি) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।